সুপার মডেল সিন্ডি ক্রফোর্ডের ছেলে প্রেসলি, শৈশবে হয়তো বুঝতেই পারেনি তার মা আসলে কী কাজ করেন! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ সিন্ডি। সন্তানদের মানুষ করতে গিয়ে কীভাবে তিনি নিজের পেশাগত জীবনকে সামলেছেন, সেই গল্প শুনিয়েছেন।
৫৯ বছর বয়সী সিন্ডি জানান, মা হিসেবে সন্তানদের কাছে সবসময় তিনি ছিলেন পরিবারের প্রথম পছন্দ। প্রেসলি যখন ছোট ছিল, তখন একবার এক শিক্ষককে সে জানায়, তার মা কোনো কাজ করেন না। বিষয়টি শুনে ভালো লেগেছিল সিন্ডির। কারণ, তার মনে হয়েছিল, ছেলেকে সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি সফল হয়েছেন। ছেলের কাছে তার অনুপস্থিতি সেভাবে ধরা পড়েনি।
সাক্ষাৎকারে সিন্ডির সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে কাইয়া গারবার এবং ছেলে প্রেসলি গারবারও। তারা জানান, মা হিসেবে সিন্ডি সবসময় তাদের পাশে ছিলেন। মডেলিংয়ের পাশাপাশি সন্তানদের প্রতিও তিনি ছিলেন সমানভাবে নিবেদিত।
ক্রিসমাসের ছুটির দিনগুলোতে পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে কাটানোর একটি সুন্দর চিত্রও উঠে আসে আলোচনায়। সিন্ডি জানান, সন্তানদের ছোটবেলায় তারা সবাই মিলে একসঙ্গে ছুটি কাটাতে অন্য কোথাও যেতেন। তবে এখন যেহেতু ছেলে-মেয়ে বড় হয়েছে, তাই আগের মতো সেই সুযোগটা সবসময় হয়ে ওঠে না। কারো হয়তো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে, কারো আবার অন্য কোনো ব্যস্ততা।
তবে সিন্ডি মনে করেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশি মনোযোগী হয়েছেন। সবার একসঙ্গে সময় কাটানোটা এখন তাদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই ক্রিসমাসের দিনটি যদি কোনো কারণে অন্যদিনেও পালন করতে হয়, তাতেও তাদের কোনো আপত্তি নেই। মূল কথা হলো, একসঙ্গে থাকা।
সিন্ডি আরও জানান, তার ছেলে-মেয়ে দুজনেই সাধারণত তাদের সঙ্গেই থাকতে চায়। তবে তাদের নিজস্ব জীবনসঙ্গীও রয়েছে, তাই সবসময় হয়তো একসঙ্গে থাকা সম্ভব হয় না। তবে দিন-ক্ষণ নিয়ে তাদের কোনো ছুঁৎমার্গ নেই। বরং পরিবারের সবাই একসঙ্গে সময় কাটাতে তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
তথ্য সূত্র: পিপল