অফিসের এক কর্মীর বিরুদ্ধে সহকর্মীর গোপন ব্যবসার খবর ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে, যার ফলস্বরূপ অভিযুক্ত কর্মীকে চাকরি হারাতে হয়েছে। সম্প্রতি, অনলাইনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যেখানে অনেকেই এই ইস্যুতে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
জানা গেছে, একটি মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ব্যক্তি তার সহকর্মীর বিরুদ্ধে অফিসের শিপিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ব্যবসার মালামাল পরিবহনের অভিযোগ করেন। ওই সহকর্মী, যিনি পুরাতন জুতা এবং ইলেকট্রনিক গ্যাজেট বিক্রির ব্যবসা করতেন, নিয়মিতভাবে কোম্পানির শিপিং ব্যবস্থা ব্যবহার করছিলেন, যা কর্তৃপক্ষের অগোচরে কয়েক হাজার ডলারের ক্ষতির কারণ হয়।
বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসার আগেই ওই কর্মী তার সহকর্মীর কার্যকলাপের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হলে, ওই কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। অভিযোগকারী কর্মীর বিরুদ্ধে অনেকে ‘চোগলখোর’ বা ‘খবরী’—এর মতো শব্দ ব্যবহার করে তাঁর সমালোচনা করছেন।
তাঁদের মতে, ওই কর্মীর এমন কাজের কারণে একজন মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে, কারণ চাকরি হারানো ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী আসন্ন সন্তানের মুখ চেয়ে ছিলেন।
অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন, অভিযোগকারী সঠিক কাজটি করেছেন। তাঁদের যুক্তি, কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি রোধ করতে এবং নিজের সম্মান বাঁচাতে তাঁর এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল। অনলাইন আলোচনাগুলোতেও বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
অনেকে বলছেন, কর্মীদের মধ্যে সততা ও অফিসের নিয়ম-কানুন মেনে চলা উচিত, যাতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কেউ যদি অফিসের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত লাভের চেষ্টা করেন, তবে তা কোম্পানির জন্য ক্ষতিকর।
এই ধরনের কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা সবার দায়িত্ব। এক্ষেত্রে, অভিযোগকারী কর্মীর পদক্ষেপ হয়তো কঠোর ছিল, কিন্তু কোম্পানির বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করলে তাঁর এই কাজটি প্রয়োজনীয় ছিল।
বর্তমানে, ক্ষতির পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার সমান। এমন পরিস্থিতিতে, কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতা ও ন্যায়বিচারের বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল