ওজন কমিয়ে ক্যারিয়ারে বড় পরিবর্তন! মুখ খুললেন রেবেল উইলসন

বিখ্যাত অভিনেত্রী রেবেল উইলসন, যিনি একসময় “পিচ পারফেক্ট” সিনেমায় “ফ্যাট অ্যামি” চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেছিলেন, সম্প্রতি তার ওজন কমানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন। তার এই শারীরিক পরিবর্তনের পর কিভাবে তার অভিনয় জীবন নতুন দিকে মোড় নিয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন তিনি।

প্রায় পাঁচ বছর আগে, রেবেল প্রায় ৮০ পাউন্ড ওজন কমিয়েছিলেন। এর ফলস্বরূপ, তিনি এখন আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি জানান, ওজন কমানোর পর তাকে “এক ধরনের গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ” করা থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি আসন্ন “জুলিয়েট অ্যান্ড রোমিও” নাটকে লেডি ক্যাপুলেটের চরিত্রে এবং ব্রিটিশ চলচ্চিত্র “দ্য অ্যালমন্ড অ্যান্ড দ্য সিহর্স”-এ কাজ করছেন।

রেবেলের মতে, কমেডি চরিত্রে অভিনয়ের আগে তিনি আরো গভীর এবং চরিত্র-নির্ভর ভূমিকায় কাজ করতে চেয়েছিলেন। তিনি ব্রিটিশ অভিনেত্রী জুডি ডেঞ্চের মতো একজন খ্যাতিমান অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন। তবে, পরবর্তীতে কমেডি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসায়, তিনি সেদিকেই মনোযোগ দেন।

হলিউডে কাজ করার শুরুটা তার জন্য বেশ মজার ছিল। তবে ওজন কমানোর পর, মানুষজন তাকে সম্ভবত ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করে। রেবেল মনে করেন, তিনি এখনও সেই আগের মতোই আছেন, কিন্তু তার শারীরিক পরিবর্তনের কারণে তার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে।

২০২০ সালে রেবেল তার স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন। তবে তিনি জানান, তার মা ছাড়া আর কেউই চাননি যে তিনি ওজন কমান। অনেকের ধারণা ছিল, তিনি যদি ওজন কমান, তাহলে কমেডি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হারাবেন।

ওজন কমানোর পর, রেবেল কিছুদিনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ওজেম্পিক নামের একটি ওষুধ ব্যবহার করেছিলেন। এই ওষুধটি সাধারণত টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। রেবেল স্বীকার করেন, মিষ্টি খাবারের প্রতি তার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল, তাই এই ধরনের ওষুধ তার জন্য সহায়ক হতে পারে। তবে বর্তমানে তিনি আর ওজেম্পিক ব্যবহার করেন না।

রেবেল নিজেকে “শরীর-সংক্রান্ত ইতিবাচকতার” একজন দৃষ্টান্ত হিসেবে মনে করেন। তিনি বলেন, যারা শারীরিক দিক থেকে স্থূলকায়, তাদেরও তিনি সুন্দর মনে করেন। তার মতে, সৌন্দর্য যেকোনো আকার এবং ধরনে থাকতে পারে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, একসময় তিনি তার শরীরের গঠন নিয়ে হতাশ ছিলেন।

রেবেলের এই অভিজ্ঞতা আমাদের সমাজে শারীরিক গড়ন এবং পেশাগত সুযোগের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায়। একজন ব্যক্তির শারীরিক পরিবর্তন কিভাবে তার কর্মজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে, রেবেলের ঘটনা তারই প্রমাণ।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *