মিরান্ডা ল্যামবার্টের স্বামী কে? প্রেম, জীবন এবং অজানা গল্প!

মিরান্ডা ল্যাম্বার্ট, যিনি কান্ট্রি সঙ্গীতের জগতে সুপরিচিত, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। সম্প্রতি, তাঁর স্বামী ব্রেন্ডন ম্যাকলফলিনের সঙ্গে সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

তাঁদের সম্পর্কের শুরুটা হয় ২০১৮ সালের নভেম্বরে, যখন ল্যাম্বার্ট একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাঁর ব্যান্ড ‘পিস্টল অ্যানিস’-এর সঙ্গে পারফর্ম করছিলেন। সেখানেই পরিচয় হয় ব্রেন্ডন ম্যাকলফলিনের সঙ্গে, যিনি ছিলেন অনুষ্ঠানটির নিরাপত্তা কর্মী।

খুব অল্প দিনের মধ্যেই তাঁদের সম্পর্ক গভীর হয় এবং ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের বিয়ের খবরটি প্রথমে গোপন রাখা হয়েছিল, তবে পরে ল্যাম্বার্ট নিজেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের বিয়ের কথা জানান।

ব্রেন্ডন পেশায় ছিলেন নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য, পরে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

বিয়ের পর থেকে এই দম্পতি তাঁদের সম্পর্কের সুন্দর মুহূর্তগুলো প্রায়ই সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। ব্রেন্ডন ল্যাম্বার্টের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছেন।

তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ল্যাম্বার্ট তাঁর স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ব্রেন্ডন সবসময় তাঁকে সমর্থন করেন এবং ভালোবাসেন।

ল্যাম্বার্ট ও ব্রেন্ডনের একটি যৌথ সৃষ্টিও রয়েছে। ল্যাম্বার্টের নতুন অ্যালবাম ‘পোস্টকার্ডস ফ্রম টেক্সাস’-এর একটি গানে ব্রেন্ডন সহ-লেখক হিসেবে কাজ করেছেন।

গানটির নাম ‘ড্যামিট র‍্যান্ডি’। এই গান লেখার অভিজ্ঞতা তাঁদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। ল্যাম্বার্ট জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া রয়েছে এবং তাঁরা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

এই দম্পতির জীবনে ব্রেন্ডনের আগের সম্পর্কের একটি সন্তানও রয়েছে। ল্যাম্বার্ট তাঁর সৎ ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

তিনি বলেছেন, পরিবারের এই নতুন দিকটি উপভোগ করছেন। তাঁদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল পারস্পরিক আলোচনা ও বোঝাপড়া। ল্যাম্বার্ট মনে করেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে খোলামেলা আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সংক্ষেপে, মিরান্ডা ল্যাম্বার্ট এবং ব্রেন্ডন ম্যাকলফলিনের সম্পর্ক ভালোবাসার একটি সুন্দর উদাহরণ। তাঁদের একসঙ্গে পথচলা, একে অপরের প্রতি সমর্থন এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসাই তাঁদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *