বিখ্যাত গায়িকা কেলসিয়া ব্যালারিনির মা-বাবার সম্পর্ক: যা জানলে অবাক হবেন!

বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কেলসি ব্যালারিনির (Kelsea Ballerini) শিল্পী জীবনের পেছনে রয়েছে তার বাবা-মা কার্লা ডেনহাম (Carla Denham) এবং এড ব্যালারিনির (Ed Ballerini) অসীম সমর্থন। অল্প বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলেও, তাঁদের উৎসাহ ছিল সবসময়ই মেয়ের পাশে।

আসুন, এই প্রতিভাবান শিল্পীর বেড়ে ওঠার গল্পে তাঁদের অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বরে টেনেসির মাসকটে জন্ম হয় কেলসির। মা কার্লা ডেনহাম পেশায় একজন মার্কেটিং পেশাজীবী, এবং বাবা এড ব্যালারিনি একসময় একটি রেডিও স্টেশনের সেলস ম্যানেজার ছিলেন।

কেলসির যখন ১২ বছর বয়স, তখন তাঁর বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এই ঘটনায় কেলসি কিছুটা হলেও ভেঙে পড়েছিলেন।

সেই সময়ে সঙ্গীত ছিল তাঁর কাছে এক ধরণের থেরাপি, যা তাঁকে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।

বাবা-মায়ের উৎসাহে ১৫ বছর বয়সে কেলসি মা কার্লার সঙ্গে সঙ্গীতচর্চা এবং ক্যারিয়ার গড়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ন্যাশভিলে। সেখানে তিনি গানের জগতে নিজের পরিচিতি তৈরি করতে সংগ্রাম করতে থাকেন।

এই সময়ে মা কার্লা সবসময় মেয়ের পাশে ছিলেন, তাঁর স্বপ্নকে সত্যি করতে সাহায্য করেছেন। কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ কেলসি আজ সঙ্গীত জগতে সুপ্রতিষ্ঠিত।

তাঁর ঝুলিতে রয়েছে পাঁচটি গ্র্যামি মনোনয়ন (Grammy nominations)।

২০১৯ সালে যখন কেলসি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন, তখন তিনি তাঁর মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি আবেগপূর্ণ ভিডিও পোস্ট করেন।

কেলসির সাফল্যের পেছনে তাঁর বাবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁর বাবা সবসময় তাঁকে “মনের দিক থেকে তরুণ” থাকতে উৎসাহিত করেছেন।

সেলস ম্যানেজার থেকে মার্কেটিং পেশা—কেরিয়ারের ভিন্ন পথে হেঁটেও, কেলসির বাবা-মা সবসময় চেয়েছেন তাঁদের মেয়ে ভালো থাকুক।

মা কার্লা ২০১১ সালে ব্র্যান্ড ইথোস পার্টনার্স (Brand Ethos Partners) নামে একটি মার্কেটিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যা ব্র্যান্ড তৈরি এবং গল্প বলার মাধ্যমে পরিচিতি এনে দেয়।

অন্যদিকে, কেলসি তাঁর মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে সবসময়ই কথা বলেছেন।

তাঁর ‘প্যাটার্নস’ (PATTERNS) অ্যালবামে ‘সরি, মম’ (Sorry, Mom) শিরোনামের একটি গান রয়েছে, যা বিশেষভাবে তাঁর মায়ের প্রতি উৎসর্গীকৃত। এই গানে তিনি মা এবং মেয়ের সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরেছেন।

কেলসি জানিয়েছেন, তাঁর মা সবসময় তাঁর পাশে ছিলেন এবং কঠিন সময়ে সাহস জুগিয়েছেন।

কেলসির বাবা এড ব্যালারিনি সবসময় কেলসিকে তরুণ থাকতে উৎসাহিত করেছেন। ২০১৯ সালে আইহার্ট কান্ট্রির (iHeart Country) সাথে এক সাক্ষাৎকারে কেলসি বলেছিলেন, তাঁর বাবা তাঁকে অনেক মূল্যবান শিক্ষা দিয়েছেন।

মা ও মেয়ের এই সুন্দর সম্পর্কের কথা আগেও বহুবার বলেছেন কেলসি। এমনকি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানেও মায়ের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন তিনি।

কেলসির মতে, মা তাঁর জীবনের সেরা ‘অ্যাকসেসরি’।

বাবা-মা’র সমর্থন ও ভালোবাসাই কেলসি ব্যালারিনির সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তাঁদের উৎসাহ জুগিয়ে যাওয়ার ফলেই কেলসি আজ সঙ্গীত জগতে এতটা প্রভাবশালী।

তথ্য সূত্র: পিপল (People)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *