নতুন পোপের অভিষেক: লিও চতুর্দশ, পুরনো নামের নতুন যাত্রা।
ভ্যাটিকান সিটি থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ক্যাথলিক চার্চের নতুন ধর্মগুরু নির্বাচিত হয়েছেন রবার্ট ফ্রান্সিস প্রিভোস্ট। তিনি পোপ হিসেবে ‘লিও চতুর্দশ’ নাম গ্রহণ করেছেন। এই নামটি ক্যাথলিক ইতিহাসে একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পোপ লিও প্রথম ৪৪০ খ্রিস্টাব্দে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি চার্চের ঐক্য রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে পোপ লিও ত্রয়োদশ (১৮৭৮-১৯০৩) সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধানে এবং দরিদ্র মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রতিও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নতুন পোপের এই নাম গ্রহণের মাধ্যমে নৈতিক নেতৃত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং দরিদ্র ও অনগ্রসর মানুষের প্রতি সাহায্যের বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, পোপ ফ্রান্সিসের নীতিগুলোও তিনি অনুসরণ করতে পারেন।
ক্যাথলিক চার্চের ইতিহাসে পোপদের নাম পরিবর্তনের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। সেন্ট পিটার ছিলেন প্রথম পোপ, যিনি তার বাপ্তিস্মের নাম “সিমোন” পরিবর্তন করে নতুন নাম গ্রহণ করেছিলেন। সাধারণত, পোপরা তাদের পূর্বসূরিদের প্রতি সম্মান জানাতে অথবা নতুনত্ব আনতে এই ধরনের পদক্ষেপ নেন। ইতিহাসে জন, গ্রেগরি, বেনেডিক্ট এবং পিয়াস-এর মতো নামগুলো পোপদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিল।
ভ্যাটিকানের একজন সাংবাদিকের মতে, পোপ লিও চতুর্দশ সম্ভবত একজন বাস্তববাদী মানুষ। তার এই নাম গ্রহণ সম্ভবত পোপ ফ্রান্সিস এবং বিগত কয়েক শতাব্দীর পোপদের থেকে একটি সুস্পষ্ট ভিন্নতা নির্দেশ করে। যেমন, পোপ ফ্রান্সিস তার নামের মাধ্যমে সেন্ট ফ্রান্সিস অফ অ্যাসিজির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন, যিনি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল