যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি’র তিনজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী, তাল, আলন ও ওরেন আলেকজান্ডার-এর বিরুদ্ধে নারী পাচার ও নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে তারা ফেডারেল হেফাজতে রয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আরও গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, এই তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগগুলির মধ্যে, ২০১৬ সাল থেকে তাদের বিরুদ্ধে নারী পাচারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। নিউ ইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টে পেশ করা এক অতিরিক্ত অভিযোগনামায় (Superseding Indictment) তিনজন ভাইয়ের বিরুদ্ধে আরও ছয় জন নারীকে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর মধ্যে, ২০০৯ সালে তাদের একজন ভিকটিম নাবালিকা ছিল।
আদালতের নথি অনুযায়ী, অভিযুক্তরা নারীদের পানীয়তে মাদক মিশিয়ে তাদের অচেতন করতেন। এমনকি ধর্ষণের সময় ভিকটিমদের আর্তনাদ ও সাহায্য প্রার্থনার পরেও তারা তাদের নির্যাতন চালিয়ে যেত।
তারা প্রতারণা ও জোরপূর্বক ভিকটিমদের তাদের সঙ্গে বিভিন্ন গোপন স্থানে যেতে বাধ্য করত। এরপর সেখানে তাদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করা হতো।
আগে, তাল, ওরেন ও আলন তাদের বিরুদ্ধে আনা প্রাথমিক অভিযোগের বিরুদ্ধে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছিলেন, যেখানে কেবল দুইজন ভিকটিমের কথা উল্লেখ ছিল। বর্তমানে, তাদের বিরুদ্ধে আনা নতুন অভিযোগগুলোর কারণে তাদের আইনি জটিলতা আরও বেড়েছে।
বর্তমানে, এই তিন ভাই ব্রুকলিনের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে আটক রয়েছেন। ওরেনের বিরুদ্ধে নারী পাচারের ষড়যন্ত্র, জোরপূর্বক নারী পাচার এবং ভ্রমণের জন্য প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাল-এর বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে, সঙ্গে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। আলনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে তারা এসব অভিযোগের বিষয়ে আদালতে তাদের বক্তব্য পেশ করবেন। ওরেনের আইনজীবী রিচার্ড ক্লুগ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “নতুন করে আনা এই অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। আমরা আমাদের মক্কেলের নির্দোষিতা প্রমাণ করতে সব ধরনের চেষ্টা চালাব।”
তাল-এর আইনজীবীর কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: পিপল