ফ্লোরিডা জর্জিয়া লাইনের বিচ্ছেদের পর ব্রায়ান কেলির একক সফরে নতুন চমক!

ফ্লোরিডা জর্জিয়া লাইনের প্রাক্তন শিল্পী ব্রায়ান কেলি, দল ভেঙে যাওয়ার পর এখন একাই সঙ্গীত জগতে নিজের স্থান তৈরি করছেন। সম্প্রতি তিনি ‘দ্য মাস্কড সিঙ্গার’ নামক একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন।

বর্তমানে তিনি তার ‘সানশাইন স্টেট অফ মাইন্ড’ শিরোনামের একক কনসার্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যা জুলাই মাস থেকে শুরু হবে।

২০২২ সালে ফ্লোরিডা জর্জিয়া লাইন ভেঙ্গে যাওয়ার পর কেলি এক নতুন পথে যাত্রা শুরু করেন। তিনি জানান, এক শিল্পী হিসেবে নিজের কাজগুলো গুছিয়ে নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

তিনি বলেন, “আমি আমার দলের প্রধান হতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত এবং আমাদের জগৎটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা সবাই কঠোর পরিশ্রম করছি এবং সামনে এগিয়ে যেতে চাই।”

‘দ্য মাস্কড সিঙ্গার’-এ ‘ম্যাড সায়েন্টিস্ট মনস্টার’ রূপে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা কেলির সঙ্গীত জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের পরেই তিনি ‘সানশাইন স্টেট অফ মাইন্ড সিজন ২ চ্যাপ্টার ১’-এর জন্য কণ্ঠ দেওয়ার কাজ শুরু করেন।

কেলি আরও জানান, এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি নিজের শিল্পী সত্তা সম্পর্কে নতুনভাবে ধারণা লাভ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময় নিজেকে একটি নির্দিষ্ট গন্ডিতে আবদ্ধ রাখতাম। তবে এখন আমি বুঝি, সঙ্গীতের আসল সৌন্দর্য্য হলো নিজের ভালো লাগা ও অনুভূতির প্রকাশ।”

অনুষ্ঠানে কেলির স্ত্রী ব্রিটনি কেলিও তাকে সমর্থন জুগিয়েছেন। কেলি বলেন, ব্রিটনি তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তার সব কাজে সবসময় পাশে থাকেন।

কেলির বাবাও তাকে এই কঠিন সময়ে সঠিক পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করেছেন। কেলি জানান, তার বাবা তাকে সবসময় উৎসাহ দেন এবং একজন বিচক্ষণ পরামর্শদাতা হিসেবে পাশে থাকেন।

অনুষ্ঠানে বিচারকদের দেওয়া কিছু মন্তব্য প্রসঙ্গে কেলি বলেন, “বিচারকরা যখন অন্য শিল্পীদের সঙ্গে আমার কণ্ঠের তুলনা করছিলেন, তখন আমি বেশ আনন্দিত হয়েছিলাম। আমি মনে করি, আমি সঠিক পথেই আছি।”

তিনি আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন এবং ভক্তদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন।

অনুষ্ঠানে কেলি কোন গানটি গাইতেন, যদি তিনি ফাইনালের জন্য নির্বাচিত হতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কান ব্রাউনের ‘মাইলস অন ইট’ গানটি তিনি পরিবেশন করতেন।

অনুষ্ঠানে ‘ম্যাড সায়েন্টিস্ট মনস্টার’ রূপে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কেলি বলেন, “পোশাকটি পরে গান গাওয়াটা বেশ গরম ছিল। তবে আমি ফ্লোরিডার মানুষ, তাই গরম আবহাওয়ার সঙ্গে আমার ভালোই পরিচয় আছে।”

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *