যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইন্দোনেশিয়া এবং পাপুয়া নিউ গিনির জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। এই সতর্কবার্তায় উভয় দেশের কিছু অংশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জন্য একটি দ্বিতীয় স্তরের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। এর মানে হল, ভ্রমণকারীদের সেখানে ভ্রমণকালে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এই সতর্কতার কারণ হিসেবে সন্ত্রাসবাদ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ইন্দোনেশিয়ার কিছু অঞ্চলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় পাপুয়া এবং পার্বত্য পাপুয়া অঞ্চলে ভ্রমণ না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পার্বত্য পাপুয়ায় অবস্থিত জায়াভিজয়া এবং কেন্দ্রীয় পাপুয়ায় অবস্থিত নাবিরে, তিমিকা ও মিমিঙ্কা এলাকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় পাপুয়া এবং পার্বত্য পাপুয়ায় সহিংস বিক্ষোভ ও সংঘাতের কারণে মার্কিন নাগরিকদের আহত অথবা নিহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষোভ ও জনসমাগম এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ করতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট প্রাবো Subianto-র নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে মার্কিন সরকার সে দেশের নাগরিকদের সহায়তায় সীমিত ক্ষমতা রাখবে। কারণ, কর্মকর্তাদের ওই অঞ্চলে যেতে বিশেষ ভিসা নিতে হবে।
এছাড়াও, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী দেশ পাপুয়া নিউ গিনির জন্য তৃতীয় স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর অর্থ হল, ভ্রমণকারীদের সেখানে ভ্রমণ পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাপুয়া নিউ গিনিতে অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা এবং জলদস্যুতার কারণে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অপহরণ, বিস্ফোরিত না হওয়া যুদ্ধাস্ত্র, দুর্বল স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির কারণে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। বাউগানভিলের পাংগুনা খনির কাছাকাছি এলাকা এবং পার্বত্য অঞ্চলের (মাউন্ট হাগেন ও গোরোকা বাদে) জন্য চতুর্থ স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যা ‘ভ্রমণ না করার’ পরামর্শ দেয়।
সেখানকার নাগরিক অস্থিরতাই এর প্রধান কারণ।
ভ্রমণ সংক্রান্ত এই সতর্কতাগুলো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কর্তৃক জারি করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস