কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে, উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। বিতর্কিত অঞ্চলটিতে ড্রোন হামলা এবং গোলাগুলির ফলে ইতোমধ্যে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটিয়েছে।
গত কয়েকদিনে কাশ্মীর সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা পাকিস্তানের দিক থেকে আসা ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
ইসলামাবাদের দাবি, তারা ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে এবং তাদের হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্তের কাছে উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে অন্ততপক্ষে চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে।
উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইরানের পক্ষ থেকে দুই দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও উভয় দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দ্রুত উত্তেজনা কমাতে বলেছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারত ও পাকিস্তান সবসময় প্রতিবেশী থাকবে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে উভয় দেশকে কাজ করতে হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমার পরিবর্তে তা আরও বাড়তে পারে। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে অতীতেও একাধিকবার যুদ্ধ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা