বদলে যাওয়া: মিরাंडा জুলাইয়ের বই পড়ে কেঁদে ফেলেন লেখক!

বিখ্যাত লেখিকা এমা জেন আনসওয়ার্থের সাহিত্য জীবন

ছোটবেলায় গল্পের বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে শুরু করে জীবনের নানা বাঁকে বই কিভাবে একজন মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, সেই বিষয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় লেখিকা এমা জেন আনসওয়ার্থ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন তাঁর জীবনে বইয়ের গুরুত্বের কথা।

আনসওয়ার্থের প্রথম পাঠের স্মৃতি সম্ভবত একটি গারফিল্ড কমিক বই। কমিক চরিত্রটি তাঁর খুব প্রিয় ছিল, কারণ সে ছিল মজাদার এবং একটি আইকনিক লালরঙা চরিত্র। এরপর তিনি লুসি মড মন্টগোমারির ‘অ্যান অফ গ্রিন গ্যাবেলস’-এর মতো ক্লাসিক বইগুলো পড়েছেন। তাঁর মতে, এই বইগুলি তাঁকে নতুন জগৎ চিনিয়েছে।

কৈশোরে জুডি ব্লুমের ‘ফরেভার’ বইটি তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। আনসওয়ার্থ জানিয়েছেন, বইটি যৌনতা সম্পর্কে তাঁর ধারণা বদলে দিয়েছিল। তিনি বলেন, “বইটি সবকিছুকে উন্মুক্তভাবে তুলে ধরেছিল, বিশেষ করে জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে।”

তাঁর লেখক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হলো জেনিফার ইগানের ‘এ ভিজিট ফ্রম দ্য গুন স্কোয়াড’ পড়া। এই বইটি তাঁকে নতুন ধরনের লেখার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিল। ম্যাগি নেলসনের ‘দ্য আর্গোনটস’ও তাঁর ভালো লেগেছে। এই ধরনের বইগুলো মা ও শরীরের প্রতি লেখকের সৎ এবং সাহসী দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরে।

রোমান্টিক কবি এবং প্রতীকী কবিদের লেখাও আনসওয়ার্থকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ইয়েটস-এর কবিতাগুলো তাঁকে এতটাই নাড়া দিয়েছিল যে, তিনি লেখাকে নিজের প্রতিশোধ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।

কিছু লেখকের লেখার প্রতি তাঁর ভালো লাগা তৈরি হয়েছে দেরিতে। যেমন, প্যাট্রিসিয়া হাইস্মিথের লেখাগুলো প্রথমে তাঁর ভালো না লাগলেও, পরে তিনি সেগুলির গভীরতা অনুভব করতে পেরেছেন। ‘স্ট্রেঞ্জার্স অন এ ট্রেন’ তাঁর অন্যতম প্রিয় বই।

আনসওয়ার্থের মতে, ক্যাথরিন মে-এর ‘উইন্টারিং’ বইটি তাঁর জন্য শান্তির আশ্রয়। এছাড়া, তিনি ক্যারি ফিশার, ক্যাথরিন হেইনি এবং নোর এফ্রনের লেখাগুলোকেও বন্ধু হিসেবে দেখেন।

বর্তমানে তিনি তাঁর সন্তানের সঙ্গে বেন এলটন এবং বেন মিলারের শিশুদের বই পড়ছেন। তাঁর মেয়ে জোন ক্লাসেনের ডার্ক হিউমারের ভক্ত। এছাড়া, তিনি নুসাইবাহ ইউনুস-এর ‘ফান্ডামেন্টালি’ এবং আনা হুইটহ্যামের ‘সফট টিস্যু ড্যামেজ’ বই দুটিও বেশ উপভোগ করছেন।

মিরান্ডা জুলাইয়ের ‘অল ফোরস’ বইটি তাঁর জীবনকে নতুনভাবে নাড়া দিয়েছে। এই বইটির অভিজ্ঞতা তিনি এখনো ভুলতে পারেন না। আনসওয়ার্থের মতে, ভালো বই একজন মানুষকে বদলে দিতে পারে।

এমা জেন আনসওয়ার্থের নতুন বই ‘স্ল্যাগস’ প্রকাশিত হয়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *