বইয়ের দোকানে নতুন আকর্ষণ: কফি, ওয়াইন, ডিনার আর আকর্ষণীয় পরিবেশ!

বইয়ের দোকান আর ক্যাফে – এই দুইয়ের যুগলবন্দী কি নয়া দিগন্তের সূচনা করছে? নিউইয়র্কের কয়েকটি বইয়ের দোকানে সম্প্রতি যে পরিবর্তন এসেছে, তা অনেকের নজর কেড়েছে।

অন্যদিকে যেমন কফি, ওয়াইন অথবা হালকা স্ন্যাকসের ব্যবস্থা, তেমনই বইয়ের সমাহার—যেন এক মনোরম পরিবেশে বইপ্রেমীদের আনাগোনা।

নিউইয়র্কের পুরনো ও ঐতিহ্যপূর্ণ এলাকাগুলোতে, বিশেষ করে গ্রিনউইচ ভিলেজ, ইস্ট ভিলেজ এবং সোহোতে, এই ধরনের বইয়ের দোকান চোখে পড়ছে।

পুরনো দিনের বইয়ের দোকান ‘দ্য স্ট্র্যান্ড’-এর কথা ধরুন। একশো বছরের কাছাকাছি সময় ধরে বইপ্রেমীদের পছন্দের জায়গা এটি।

বর্তমানে, তারা তাদের দোকানে কফি ও হালকা খাবারের ব্যবস্থা রেখেছে। এছাড়া, বিরল বইয়ের সংগ্রহশালায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে পাঠকদের মিলনমেলা বসে।

বই প্রকাশনা, আলোচনা সভা থেকে শুরু করে বিয়ে বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানেরও সাক্ষী থাকে এই স্থান।

এই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিউইয়র্কে আরো কিছু বইয়ের দোকান তৈরি হয়েছে, যেখানে বইয়ের পাশাপাশি খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

‘বুক ক্লাব বার’-এ যেমন হালকা পানীয়ের সঙ্গে বই পড়ার সুযোগ রয়েছে, তেমনই ‘বিবলিওথেক’-এ ওয়াইনের সঙ্গে ডিনার উপভোগ করার ব্যবস্থা আছে।

ইতালীয় খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে, ‘সোলানা’র জুড়ি নেই, যেখানে ইতালীয় ভাষায় লেখা শিশুদের বইয়ের সঙ্গে পাস্তা ও অন্যান্য খাবার পাওয়া যায়।

তবে, এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার কারণ কী? মূলত, বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ ধরে রাখা এবং আরো বেশি গ্রাহক টানতে এই প্রচেষ্টা।

বইয়ের দোকানগুলো এখন শুধু বই বিক্রির জায়গা নয়, বরং একটি সামাজিক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এই পরিবর্তন, বইয়ের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এবং একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ—উভয়কে একত্রিত করে নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করছে।

বাংলাদেশেও কি এমন কিছু দেখা যায়? ঢাকার কিছু ক্যাফেতে বইয়ের সংগ্রহ দেখা যায়, যেখানে বসে বই পড়া ও কফি পানের সুযোগ রয়েছে।

ভবিষ্যতে, বইয়ের দোকানগুলো যদি খাবারের দোকান বা ক্যাফের সঙ্গে মিলিত হয়, তবে তা পাঠকদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে।

তথ্যসূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *