যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি তাদের প্রস্তাবিত কর ও ব্যয়ের কাটছাঁটের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ধনী ব্যক্তিদের উপর করের হার বাড়ানোর বিষয়ে বিবেচনা করছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
যদিও দলের মধ্যে এই ধারণা নিয়ে এখনও মতভেদ রয়েছে।
জানা গেছে, রিপাবলিকানরা বর্তমানে কিভাবে বিশাল অঙ্কের কর হ্রাসের ক্ষতি পূরণ করা যায়, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। এই লক্ষ্যে তারা প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লক্ষ ৬৩ হাজার কোটি টাকা) ব্যয় সংকোচনের চেষ্টা করছেন।
ট্রাম্প মনে করেন, ধনী ব্যক্তিদের উপর সামান্য কর বৃদ্ধি করা যেতে পারে, যা মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য উপকারী হবে।
তবে, এই প্রস্তাবের রাজনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কেও তিনি অবগত। তিনি উল্লেখ করেন, এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে ডেমোক্র্যাটরা কঠোর সমালোচনা করতে পারে। উল্লেখ্য, জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ একবার কর বাড়ানোর কথা বলেছিলেন, যা সম্ভবত নির্বাচনে তার পরাজয়ের কারণ হয়েছিল।
বর্তমানে, রিপাবলিকানদের মধ্যে এই বিষয়ে দ্বিধা রয়েছে। হাউস ওয়েজ অ্যান্ড মিনস কমিটি বেশ কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে।
এর মধ্যে একটি হলো, ধনী আমেরিকানদের জন্য বিদ্যমান কর ছাড়ের মেয়াদ শেষ হতে দেওয়া। এর ফলে তাদের সর্বোচ্চ আয়কর হার আবার ৩৯.৬ শতাংশে ফিরে আসবে, যা ট্রাম্পের ২০১৭ সালের কর সংস্কারের আগের হার ছিল।
যদিও এই পদক্ষেপে ছোট ব্যবসার মালিকদের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
আরেকটি প্রস্তাব হলো, উচ্চ আয়ের লোকেদের জন্য নতুন একটি করের স্তর তৈরি করা। এই স্তরের অধীনে, যারা বছরে অন্তত ২৫ লক্ষ ডলার (প্রায় ২৭২ কোটি টাকা) আয় করেন বা দম্পতিদের মধ্যে যাদের আয় বছরে কমপক্ষে ৫০ লক্ষ ডলার (প্রায় ৫৪৪ কোটি টাকা), তাদের করের আওতায় আনা হতে পারে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, রাজ্যের এবং স্থানীয় করের ছাড় পুনরুদ্ধার করা যেতে পারে।
তবে, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ধনী ব্যক্তিদের উপর কর বাড়ানোর ধারণার জোরালো সমর্থক নন।
হোয়াইট হাউস কিভাবে এই বিলের অর্থায়ন করবে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কংগ্রেস ইতিমধ্যে ব্যয় সংকোচনের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের করনীতি নিয়ে এই আলোচনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় করের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন আয়কর নীতি কীভাবে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের উপর প্রভাব ফেলে এবং জাতীয় বাজেটে অবদান রাখে, সেই বিষয়েও আলোচনা করা যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন।
[বি.দ্র. – এখানে উল্লিখিত ডলারের অর্থের পরিমাণ আনুমানিক এবং বিনিময় হার সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।]