কান উৎসবে বিশেষ সম্মাননা! ডি নিরোর সিনেমা জগতে ঝড়!

চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানজনক ‘পালমে ডি’অর’ খেতাব পেতে চলেছেন বিশ্বখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো। চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে।

আগামী ১৩ই মে কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

আশির দশকে মার্টিন স্করসেসির ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ডি নিরোর কান চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়।

১৯৭৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হওয়ার পর ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এবং সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে ‘পালমে ডি’অর’ জয় করে।

এরপর, ১৯৮৩ সালে ‘দ্য কিং অফ কমেডি’, ১৯৮৪ সালে সের্গেও লিওনের ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’ এবং ১৯৮৬ সালে রোলান্ড জোফের ‘দ্য মিশন’-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ডি নিরো কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন।

‘দ্য মিশন’ ছবিটিও কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘পালমে ডি’অর’ জিতেছিল, যা ডি নিরোর অভিনয় জীবনের এক বিরল স্বীকৃতি।

শুধু অভিনেতা হিসেবেই নয়, ডি নিরো চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক হিসেবেও কান-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

২০১১ সালে তিনি জুরি বোর্ডের প্রধান ছিলেন, যে বছর টেরেন্স মালিকের ‘দ্য ট্রি অফ লাইফ’ সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছিল।

২০২৩ সালে মার্টিন স্করসেসির পরিচালনায় ‘কিলার্স অফ দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি আবারও কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিরে আসেন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জানিয়ে ডি নিরো বলেন, “কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতি আমার গভীর অনুভূতি রয়েছে।

বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন বিশ্বজুড়ে বিভেদ বাড়ছে, কান চলচ্চিত্র উৎসব আমাদের গল্পকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, দর্শক এবং বন্ধুদের একত্রিত করে।

এটা যেন বাড়ি ফেরার মতো।”

চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অসাধারণ কাজের জন্য ডি নিরোর এই সম্মাননা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বিশ্ব চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর উৎসর্গীকৃত জীবনের স্বীকৃতি।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই পুরস্কার প্রাপ্তি, নিঃসন্দেহে বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্যেও একটি বিশেষ মুহূর্ত।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *