ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত! ট্রাম্পের নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া হলো কর্মকর্তাদের!

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দেশটির গ্রাহক পণ্য নিরাপত্তা কমিশনের (Consumer Product Safety Commission – CPSC) দুইজন সদস্যকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। বরখাস্ত হওয়া এই দুই সদস্য হলেন রিচার্ড ট্রুমকা জুনিয়র এবং আলেকজান্ডার হোয়েহন-সারিক।

জানা গেছে, এই দুইজনকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিয়োগ দিয়েছিলেন এবং তাদের মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার কথা ছিল।

সিপিএসসি (CPSC)-এর মূল কাজ হলো, বাজারে আসা বিভিন্ন গ্রাহক পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সেগুলোর মান নিরীক্ষণ করা। এছাড়া, কোনো পণ্যের কারণে ক্রেতাদের স্বাস্থ্যহানি বা ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিলে, সেই পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তও এই কমিশন নেয়।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের ফলে, স্বাধীনভাবে কাজ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রিচার্ড ট্রুমকা জুনিয়র জানিয়েছেন, তাকে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসন এমন কিছু পদক্ষেপের বিরোধীতা করে, যা তিনি করছিলেন।

এর মধ্যে ছিল, সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া এবং সরকারি কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে বরখাস্ত করা বন্ধ করা। ট্রুমকা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তার মতে, প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমতা নেই যে তিনি তাকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে দিতে পারেন।

আরেক বরখাস্ত হওয়া সদস্য আলেকজান্ডার হোয়েহন-সারিক এক বিবৃতিতে জানান, এই ধরনের পদক্ষেপ ফেডারেল সংস্থা ও কর্মীদের ওপর চলমান আক্রমণের অংশ।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে অবশ্য এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাহী বিভাগের প্রধান এবং তার এই বিভাগের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার অধিকার রয়েছে।

এদিকে, ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি অলাভজনক সংস্থা ‘কনজিউমার রিপোর্টস’ এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।

সংস্থাটি মনে করে, এটি দেশের পণ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর একটি ‘আইনবহির্ভূত আক্রমণ’। তারা কংগ্রেসকে সিপিএসসি’র স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বর্তমানে এমন একটি মামলার শুনানি চলছে, যেখানে প্রেসিডেন্টকে অনুরূপ দুটি স্বাধীন সংস্থার সদস্যদের বরখাস্ত করার ক্ষমতা আছে কিনা, সেই বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত আইনি জটিলতা আরও বাড়িয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *