আলোচনা ভেস্তে গেলে: ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যে ইরানের সঙ্গে আসন্ন আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে না। আগামী রবিবার ওমানে এই আলোচনার কথা রয়েছে, যেখানে পরমাণু বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কথা হবে।

মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যদি আলোচনা সফল না হয়, তাহলে তারা অন্য পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন। তিনি আরও জানান, আলোচনার ফলপ্রসূতার জন্য প্রয়োজনীয় বোঝাপড়ার উদ্দেশ্যে গত সপ্তাহে তারা আলোচনা এড়িয়ে গিয়েছিলেন।

উইটকফের মতে, আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করা। এর অংশ হিসেবে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো – নাতানজ, ফোরডো এবং ইস্ফাহান – ভেঙে ফেলতে হবে।

অন্যদিকে, ইরান জানিয়েছে, তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার রাখে এবং এটি কোনো আলোচনার বিষয় নয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি, যিনি রবিবার উইটকফের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা, এক সপ্তাহ আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, “ইরানের সম্পূর্ণ পারমাণবিক জ্বালানি চক্র থাকার অধিকার রয়েছে।”

উইটকফ ইঙ্গিত দিয়েছেন, তেহরানের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে তারা রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য দেওয়া প্রস্তাবের মতো কিছু সুযোগ দিতে পারেন। তিনি বলেন, “আমরা ইরানকে জাতিসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ইরানকে বলছি, আপনারা আরও ভালো একটি জাতি হতে পারেন। আমরা আপনাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি, কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি করতে পারি। তবে আপনারা কোনো উসকানিদাতা হতে পারবেন না।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, ইরানকে হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের সমর্থন বন্ধ করতে হবে। উইটকফ আরও জানান, আলোচনা মূলত পারমাণবিক ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ইরানের আঞ্চলিক আগ্রাসী পদক্ষেপগুলো নিয়ে যে বিস্তৃত আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছিল, এবার সেই পথে হাঁটা হচ্ছে না।

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হলো ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সীমিত করা। তারা চায়, ইরান যেন কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে।

এই আলোচনার সাফল্যের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *