ছেলের মা দিবসে ক্রিস্টিনা ও হিদার: ভালোবাসার অনন্য দৃশ্য!

নতুন খবর: বিচ্ছেদের পরেও সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ: হলিউডের দুই তারকার সফল কো-প্যারেন্টিং

বর্তমান সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এর ফলে শিশুদের জীবনে যে প্রভাব পরে, সে বিষয়ে অনেকেরই ধারণা কম। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ শিশুদের বেড়ে ওঠায় অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

এই পরিস্থিতিতে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন হয় পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমঝোতা। সম্প্রতি, হলিউডের দুই তারকা ক্রিস্টিনা হ্যাক এবং হেদার রে এল মুসা তাদের কো-প্যারেন্টিংয়ের মাধ্যমে সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

গত সপ্তাহে, ক্রিস্টিনা হ্যাক এবং হেদার রে এল মুসা, দুজনেই তাদের নয় বছর বয়সী ছেলে ব্রেইডেনের স্কুলে আয়োজিত মা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ছবিতে ব্রেইডেনকে তার মা এবং সৎ মা’কে সঙ্গে নিয়ে হাসিমুখে পোজ দিতে দেখা যায়।

ছবিতে ব্রেইডেন তার দুই মায়ের কাঁধে হাত রেখেছিলেন। এই ছবি যেন বুঝিয়ে দেয়, বিচ্ছেদের পরেও সন্তানদের ভালো রাখার জন্য তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

ক্রিস্টিনা এবং তার প্রাক্তন স্বামী তারেক এল মুসার দুটি সন্তান রয়েছে – ব্রেইডেন ও ১৪ বছর বয়সী টেইলর। হেদার, তারেকের বর্তমান স্ত্রী এবং এই দুই সন্তানের সৎ মা।

এছাড়াও, হেদার ও তারেকের আরও একটি সন্তান রয়েছে, যার নাম ট্রিস্তান। ক্রিস্টিনারও তার প্রাক্তন স্বামী অ্যান্ট আনস্টেডের সঙ্গে ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে, যার নাম হাডসন।

মা দিবসের অনুষ্ঠানে হেদার জানান, তিনি ক্রিস্টিনার কাছে কৃতজ্ঞ যে তিনি ব্রেইডেন এবং টেইলরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান। হেদার বলেন, সাধারণত মা দিবসে তারা শিশুদের নিয়ে একটি ব্রাঞ্চ করেন এবং দিনের বাকি সময়টাতে ক্রিস্টিনা তাদের সঙ্গে কাটান।

হেদার আরও জানান, তিনি সবসময় চেষ্টা করেন রান্না বা ঘরোয়া কোনো কাজ এড়িয়ে যেতে, যাতে সকলে মিলে ভালোভাবে দিনটি উপভোগ করতে পারে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হেদার, ক্রিস্টিনার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে জানান, ক্রিস্টিনা সবসময়ই তাদের বাচ্চাদের প্রতি তার ভালোবাসাকে সমর্থন করেছেন। তিনি আরও যোগ করেন, ক্রিস্টিনা কখনোই তাকে বাচ্চাদের দেখাশোনার ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ে বাধা দেননি।

তিনি সবসময় চেয়েছেন, হেদার যেন তার নিজের মতো করে শিশুদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারে।

হেদার আরও বলেন, ক্রিস্টিনা শুরু থেকেই জানতেন, শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়ার আন্তরিকতা রয়েছে। ক্রিস্টিনা সবসময়ই অনুভব করেছেন যে হেদার তাদের জীবনে ভালোবাসার মানুষ হিসেবে এসেছেন এবং তাদের ভালো রাখতে চান।

আর এই কারণে, শিশুরা তাকে অনেক ভালোবাসে এবং ক্রিস্টিনা এতে খুশি হন।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, বিচ্ছেদ শিশুদের জীবনকে কঠিন করে তুললেও, বাবা-মায়েদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *