নিউ জার্সিতে ফের বিমান বিভ্রাট: আতঙ্কিত যাত্রীরা!

যুক্তরাষ্ট্রে, নিউ জার্সির নিউয়ার্ক বিমানবন্দরে, বিমান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা আবারও দেখা দিয়েছে।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে এখানে দ্বিতীয়বারের মতো রাডার পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়, যা যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

শুক্রবার ভোররাতের দিকে স্থানীয় সময় প্রায় ৩টা ৫৫ মিনিটে, পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় অবস্থিত একটি কেন্দ্রে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ৯০ সেকেন্ডের জন্য বিকল হয়ে যায়।

এর ফলে নিউয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যোগাযোগ এবং রাডার সংকেত পর্যবেক্ষণে সমস্যা দেখা দেয়।

এর আগে, ২৮শে এপ্রিল একই ধরনের ঘটনার কারণে শত শত ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছিল এবং অনেক ফ্লাইট বাতিলও করতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে, বিমানবন্দরের কর্মীদের হতাশা প্রকাশ করতে শোনা যায়।

একজন কন্ট্রোলারকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের রাডার ব্যবস্থা আবারও বন্ধ হয়ে গেছে।”

তিনি একটি কার্গো ফ্লাইটের পাইলটকে বলেন, “যদি আপনারা এ বিষয়ে কিছু করতে চান, তাহলে আপনাদের এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করুন।”

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বর্তমান প্রশাসন এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এবং খুব শীঘ্রই তারা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমের আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা করছে।

তবে, এই ধরনের ঘটনাগুলো বিমানবন্দরের কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরে।

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হয়, সে বিষয়ে পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া আছে।

এর ফলে সম্ভাব্য বিপদগুলি কমানো সম্ভব।

এদিকে, নিউ জার্সির কংগ্রেসম্যান জশ গোটহাইমার এই ঘটনার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি এফএএ-তে কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

গোটহাইমারের মতে, এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, বরং জননিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিমানবন্দরের পুরনো প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।

তাদের পরিকল্পনা হলো, তামার তারের পরিবর্তে ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করা এবং পুরনো রাডার ও রেডিওর আধুনিকীকরণ করা।

তবে, এই প্রকল্পের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন এবং অর্থ প্রয়োজন হতে পারে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *