যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের নামকরণের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালেও শিশুদের নামকরণে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ‘লিয়াম’ এবং ‘ওলিভিয়া’।
দেশটির সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এই নিয়ে টানা ছয় বছর ধরে এই দুটি নাম নবজাতকদের অভিভাবকদের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে।
শিশুদের নামকরণের এই তালিকা তৈরি করা হয় সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ডের জন্য আসা আবেদনপত্র থেকে। এই তালিকা অনুযায়ী, ছেলেদের জনপ্রিয় নামের মধ্যে ‘লিয়াম’-এর পরেই রয়েছে ‘নোহ’, ‘অলিভার’, ‘থিওডোর’, ‘জেমস’, ‘হেনরি’, ‘মাতেও’, ‘ইলাইজা’, ‘লুকাস’ এবং ‘উইলিয়াম’।
অন্যদিকে, মেয়েদের ক্ষেত্রে ‘ওলিভিয়া’-র পরেই রয়েছে ‘এমা’, ‘অ্যামেলিয়া’, ‘শার্লট’, ‘মিয়া’, ‘সোফিয়া’, ‘ইসাবella’, ‘ইভলিন’, ‘এভা’ এবং ‘সোফিয়া’।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের নামকরণের পেছনে রয়েছে সংস্কৃতি এবং বিশ্বজুড়ে সহজে উচ্চারণযোগ্য নামের প্রতি মানুষের আকর্ষণ। নাম বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রধান সম্পাদক সোফি কিহম জানিয়েছেন, বর্তমানে বাবা-মায়েরা এমন নাম রাখতে পছন্দ করেন যা বিভিন্ন সংস্কৃতিতে পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহারের সামান্য বৃদ্ধিও দেখা গেছে। ২০২৩ সালে যেখানে প্রায় ৩৫ লক্ষ ৯০ হাজার শিশু জন্ম নিয়েছিল, সেখানে ২০২৪ সালে জন্ম নিয়েছে প্রায় ৩৬ লক্ষ ১০ হাজার শিশু।
সামাজিক মাধ্যম এবং জনপ্রিয় টিভি শো-এর কারণেও কিছু নামের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, মেয়ে শিশুদের জন্য হাওয়াইয়ান নাম ‘আইলানি’ এবং ছেলে শিশুদের জন্য পুরনো ইংরেজি নাম ‘ট্রুস’-এর জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘ট্রুস’ নামটি গত বছরের তুলনায় প্রায় ১১ হাজার স্থান উপরে উঠে এসেছে।
তবে, এই তথ্যগুলো মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতি ও নামকরণের একটি চিত্র তুলে ধরে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে শিশুদের নামকরণের ক্ষেত্রে নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি রয়েছে।
এখানে যেমন, ঐতিহ্যপূর্ণ নাম যেমন ‘আয়েশা’, ‘ফাতেমা’, ‘রহমান’, ‘খান’ ইত্যাদি আজও বেশ জনপ্রিয়।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস