ফিফা (FIFA) ২০৩১ সাল থেকে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলে দল সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৮ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই টুর্নামেন্টের আয়োজক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ফিফার এই পদক্ষেপ নারী ফুটবলের প্রসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুরুষদের বিশ্বকাপের মতোই নারী বিশ্বকাপেও দল বাড়ানোর পরিকল্পনা অনেক দিন ধরেই চলছিল। বর্তমানে পুরুষদের বিশ্বকাপে ৪৮টি দল অংশ নেয়। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপেও এই সংখ্যা বহাল থাকবে।
ফিফা চাইছে নারী বিশ্বকাপেও এই সংখ্যাবৃদ্ধি করতে, যা ২০৩১ সাল থেকে কার্যকর হবে।
ফিফার এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০৩১ সালের টুর্নামেন্টের জন্য আরো চারটি স্টেডিয়াম এবং শহরের প্রয়োজন হবে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন, ২০৩১ এবং ২০৩৫ সালের নারী বিশ্বকাপের জন্য তাদের কাছে ইতোমধ্যে একটি করে প্রস্তাব জমা পড়েছে। ২০৩১ সালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নাম শোনা যাচ্ছে, আর ২০৩৫ সালের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাজ্য।
আগামী ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ব্রাজিলে। এই টুর্নামেন্টে ৩২টি দল অংশ নেবে এবং আটটি শহরে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালে পুরুষদের বিশ্বকাপে ব্রাজিল ১২টি শহরে ১২টি স্টেডিয়াম ব্যবহার করেছিল।
ফিফার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৪৮ দলের অংশগ্রহণে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হলে বিভিন্ন দেশের আরও বেশি খেলোয়াড় এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে, যা বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের উন্নতিতে সহায়ক হবে। খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের মধ্যে খেলাটির জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।
নারী বিশ্বকাপের দল সংখ্যা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফিফপ্রো (FIFPRO), খেলোয়াড়দের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। তারা এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সকলের অংশগ্রহণ এবং ভালো পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়েছে।
ফিফপ্রো মনে করে, নারী ফুটবলের উন্নতির সঙ্গে খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং খেলাটির মানোন্নয়ন জরুরি।
অতীতে নারী বিশ্বকাপের দল সংখ্যা ধীরে ধীরে বেড়েছে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ১৬টি দল, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে ২৪টি দল এবং ২০২৩ সালে ৩২টি দল অংশ নিয়েছিল। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে দলগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গেছে।
নারী ফুটবলের উন্নতির লক্ষ্যে ফিফা খেলোয়াড় ও কোচদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এবং সন্তান জন্মদানের পর তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: এ্যাসোসিয়েটেড প্রেস