কোথায় আছেন ব্রায়ান কোহবার্গার? চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

এখানে একটি নতুন সংবাদ নিবন্ধ লেখা হলো, যা ব্রায়ান কোহবার্গের মামলা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করে এবং বিশেষভাবে বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

**ইডাহো’র চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড: ব্রায়ান কোহবার্গের বিচার শুরু হতে যাচ্ছে**

যুক্তরাষ্ট্রের ইডাহো অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্রায়ান কোহবার্গের বিচার প্রক্রিয়া এখন শেষের পথে। আগামী জুলাই মাসেই এই মামলার চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে কোহবার্গের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

২০২২ সালের নভেম্বরে, ইডাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ম্যাডিসন মোগেন, কায়েলেই গনকালভেস, জেনা কার্নোডল এবং ইথান চাপিনকে তাদের ভাড়া করা বাড়িতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহতদের বয়স ছিল ২০ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। ঘটনার সময় ফ্ল্যাটে আরও দুইজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, তবে তারা অক্ষত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে তাদের সন্দেহের বাইরে রাখা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া তরুণ-তরুণীরা সবাই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার রাতে কী ঘটেছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে পুলিশের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ব্রায়ান কোহবার্গের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়।

ব্রায়ান কোহবার্গ একজন ক্রিমিনোলজি (অপরাধ বিজ্ঞান) বিষয়ে পিএইচডি (ডক্টরেট) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন। তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার সময় তিনি নিহত শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি ছিলেন। কোহবার্গের বিরুদ্ধে চারটি খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

তদন্তে জানা যায়, কোহবার্গ ঘটনার আগে নিহত এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, তবে তাতে তিনি সাড়া পাননি। হত্যার আগে তিনি বেশ কয়েকবার মেয়েটির ইনসটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এছাড়াও, ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি নিহতদের কর্মস্থল ‘ম্যাড গ্রিক’ নামক একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আদালতের নথি অনুযায়ী, হত্যার সময় ব্যবহৃত ছুরির খাপ ঘটনাস্থলে পাওয়া গিয়েছিল, যেখানে কোহবার্গের ডিএনএ-র নমুনা পাওয়া গেছে। এছাড়া, ঘটনার দিন কোহবার্গের ব্যবহৃত একটি সাদা হিউন্দাই এলানট্রা গাড়িটিকে ঘটনাস্থলের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। পুলিশ তার মোবাইল ফোনের ডেটা বিশ্লেষণ করে ঘটনার দিন একাধিকবার ঘটনাস্থলের কাছাকাছি টাওয়ার লোকেশন খুঁজে পেয়েছে।

কোহবার্গের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি ঘটনার রাতে অন্য কোথাও ছিলেন বলে দাবি করেছেন। তার আইনজীবী জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কোহবার্গ সম্ভবত বাইরে গিয়েছিলেন, সম্ভবত রাতের আকাশে তারা দেখতে অথবা হেঁটে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তবে, তদন্তকারীরা তার এই দাবির সত্যতা যাচাই করছেন।

কোহবার্গের অতীত জীবনও এখন আলোচনার বিষয়। জানা গেছে, তিনি আগে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল। একটি বারে নারীদের সঙ্গে তার খারাপ আচরণের অভিযোগও উঠেছিল। ঘটনার কয়েক মাস আগে তাকে সতর্কও করা হয়েছিল।

এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া এখন অ্যাডা কাউন্টিতে (Ada County) চলছে। বিচার প্রক্রিয়াটি সম্ভবত কয়েক মাস ধরে চলবে। এই মামলার রায় কী হয়, সেদিকে তাকিয়ে আছে সবাই।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *