১১ বছর বয়সী বালিকা কালিয়াহ কোয়ার মর্মান্তিক পরিণতি, নদীর জলে ডুবে মৃত্যু
লন্ডনের টেমস নদীতে পাওয়া একটি মরদেহ সনাক্ত করার পর জানা গেছে, সেটি ১১ বছর বয়সী কালিয়াহ কোয়ার। এপ্রিল মাসে নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল এবং সম্প্রতি ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা গেছে।
কালিয়াহর মৃত্যুসংক্রান্ত শুনানিতে, ইস্ট লন্ডন করোনার্স কোর্টের গ্রেমি ইরভিন জানান, ঠান্ডা পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণেই কালিয়াহর মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, নর্থ উলউইচ এলাকার কাছে কালিয়াহ তার হারানো জুতা কুড়ানোর জন্য নদীতে নেমেছিল।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ই এপ্রিল তারিখে মেরিটাইম কয়েতে কালিয়াহর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগে, কালিয়াহ নিখোঁজ হয়েছিল। ঘটনার দিন, কালিয়াহ স্কুলে যায়নি।
কালিয়াহর পরিবার বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, “আমরা কখনোই আগের মতো থাকব না। কালিয়াহকে আমরা খুব অল্প সময়ের জন্য পেয়েছি, কিন্তু সে আমাদের জীবনে অনেক আনন্দ এনেছিল। তাকে এত অল্প বয়সে হারানোটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট স্কট ওয়ারে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই দুঃখজনক দুর্ঘটনায় একটি ছোট্ট মেয়ে আমাদের ছেড়ে গেছে, যাকে সবাই ভালোবাসত। আমাদের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা কালিয়াহর পরিবারকে এই কঠিন সময়ে সহায়তা করছেন।” তিনি আরও জানান, “আমরা পরিবারের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি এবং জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন কোনো অনুমান বা ভুল তথ্য অনলাইনে বা অন্য কোথাও প্রচার করা থেকে বিরত থাকে।”
খবর অনুযায়ী, ঘটনার দিন কয়েকজন শিশুকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে দেখা গিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা তাদের বন্ধুকে পানির নিচে তলিয়ে যেতে দেখে সাহায্যের জন্য ছুটে আসে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে।
অনুসন্ধানের সময়, চিফ সুপারিনটেনডেন্ট ড্যান কার্ড জানান, কর্তৃপক্ষ কালিয়াহকে খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিল এবং ড্রোন প্রযুক্তি ও বোট ব্যবহার করে একটি বিস্তৃত এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা কালিয়াহর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে।”
কালিয়াহ কোয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অনেকে।
তথ্য সূত্র: পিপলস