নতুন পোপ, লিও চতুর্দশ: শিকাগো থেকে ভ্যাটিকান পর্যন্ত এক আকর্ষণীয় জীবন
ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নতুন ধর্মগুরু নির্বাচিত হয়েছেন রবার্ট প্রিভোস্ট। তিনি পোপ লিও চতুর্দশ নামে পরিচিত হবেন।
এই প্রথম কোনো মার্কিন নাগরিক পোপ নির্বাচিত হলেন, যাঁর জন্মস্থান হলো আমেরিকার শিকাগো।
সারা বিশ্বে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা প্রায় ১.৪ বিলিয়ন, এবং তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার গুরুদায়িত্ব এখন তাঁর কাঁধে।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর, গত ৮ই মে, ৬৯ বছর বয়সী লিও চতুর্দশ এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
পোপ লিও চতুর্দশের জীবনযাত্রা বেশ আকর্ষণীয়।
শিকাগোতে জন্ম হলেও তিনি দীর্ঘদিন পেরুতে মিশনারি হিসেবে কাজ করেছেন। এমনকি পেরুর নাগরিকত্বও গ্রহণ করেছেন তিনি।
খেলাধুলার প্রতিও তাঁর বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। জানা যায়, তিনি টেনিস খেলতে ভালোবাসেন।
সুযোগ পেলে এখনো মাঝে মাঝে কোর্টে নামেন।
তাঁর খেলাধুলার আগ্রহের মতোই একটি মজাদার বিষয় হলো, তিনি একজন “হোয়াইট সক্স” -এর সমর্থক।
শিকাগোর এই বেসবল দলের প্রতি তাঁর সমর্থন রয়েছে।
শুরুতে শোনা গিয়েছিল তিনি “শিকাগো কাবস”-এর সমর্থক, তবে তাঁর ভাই জন প্রিভোস্ট জানিয়েছেন, পোপ কখনোই কাবসের ভক্ত ছিলেন না।
আসলে তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যরা কাবস-এর সমর্থক ছিলেন, সম্ভবত সেকারণেই এই ভুল বোঝাবুঝি।
পোপ লিও চতুর্দশের শিক্ষাজীবনও বেশ উল্লেখযোগ্য।
তিনি গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।
ফিলাডেলফিয়ার ভিলানোভা ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৭ সালে গণিত শাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি বাস্কেটবলও ভালোবাসেন।
তাঁর ভাই জন প্রিভোস্টের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা হয় তাঁর।
তাঁরা রাজনীতি, ধর্ম এবং এমনকি “ওয়ার্ডল” নিয়েও আলোচনা করেন।
“ওয়ার্ডল” হলো একটি জনপ্রিয় শব্দ-ধাঁধা খেলা, যেখানে খেলোয়াড়দের একটি পাঁচ অক্ষরের শব্দ অনুমান করতে হয়।
পোপ লিও চতুর্দশের জীবন, তাঁর জন্মস্থান, খেলাধুলা এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ—সবকিছু মিলিয়ে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়।
একজন আমেরিকান হয়েও পেরুতে মিশনারি হিসেবে কাজ করা এবং খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা, তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছেও পরিচিত করে তোলে।
তথ্যসূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস