যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর, নিউইয়র্ক সংলগ্ন নিউয়ার্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Newark Liberty International Airport) উড়ান-জটে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। পুরনো প্রযুক্তি, কর্মী সংকট এবং নির্মাণ কাজের কারণে এই বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়া এখন নিত্যদিনের ঘটনা।
ফলে আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটিতে এই বিমানবন্দর ব্যবহারকারী বহু বাংলাদেশি নাগরিককে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে।
নিউয়ার্ক বিমানবন্দরটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার। এই বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্বের মূল কারণগুলো হলো— পুরনো রাডার ব্যবস্থা, যার কার্যকারিতা নির্ভর করে পুরনো ফ্লপি ডিস্ক ও তামার তারের ওপর।
এছাড়াও, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের (বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক) জনবল সংকটও একটি বড় সমস্যা। সম্প্রতি ফিলাডেলফিয়ার একটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কেন্দ্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল, যা নিউয়ার্ক বিমানবন্দরের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছিল।
বিমানবন্দরের একটি রানওয়ে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি সহজে স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, পুরনো প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তন বা মেরামত করা সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) জানিয়েছে, তারা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
তবে, ন্যাশনাল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার্স অ্যাসোসিয়েশন (National Air Traffic Controllers Association)-এর মতে, পর্যাপ্ত সংখ্যক কন্ট্রোলার নিয়োগ করতে আরও অনেক বছর লাগতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগ জানিয়েছে, তারা ২০২৮ সালের মধ্যে একটি নতুন বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরির পরিকল্পনা করছে।
এই প্রকল্পের অধীনে রাডার, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ করা হবে।
এর ফলে নিউয়ার্ক বিমানবন্দরের বর্তমান সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সমস্যাগুলো সরাসরি বাংলাদেশি যাত্রীদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যারা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিউয়ার্ক বিমানবন্দর ব্যবহার করেন, তাদের উড়ানে বিলম্ব অথবা ফ্লাইট বাতিলের মতো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
তাই, ভ্রমণের আগে বিমান সংস্থাগুলোর সর্বশেষ তথ্য জেনে নেওয়া এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজানো জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন