ওয়ালটন গগিন্স: স্ত্রীকে কেন এত ভালোবাসেন? অভিনেতার মুখেই আসল কারণ!

পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের কাছে সুপরিচিত অভিনেতা ওয়ালটন গগিন্স, যিনি ‘হোয়াইট লোটাস’ এবং ‘ফলাউট’-এর মতো জনপ্রিয় সিরিজে অভিনয় করেছেন, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন।

৫৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা আলাবামায় জন্মগ্রহণ করেন এবং পরে অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে পাড়ি দেন। সেখানে তিনি প্রথমে একটি গাড়ি পার্কিং ব্যবসা শুরু করেন এবং একই সঙ্গে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন।

গগিন্স-এর অভিনয় জীবন বেশ বর্ণাঢ্য। তিনি ‘লিঙ্কন’, ‘জাঙ্গো আনচেইনড’, ‘দ্য হেটফুল এইট’ এবং ‘টম্ব রাইডার’-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

বর্তমানে তিনি ‘ফলাউট’ সিরিজে ঘোল এবং কুপার হাওয়ার্ডের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন। এছাড়াও, স্কাই আটলান্টিকের ‘হোয়াইট লোটাস’-এর তৃতীয় সিরিজেও তাঁর অভিনয় দর্শক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

তাঁর নতুন ছবি ‘দ্য আনইনভাইটেড’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি।

সাক্ষাৎকারে গগিন্স তাঁর জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।

তিনি জানান, জীবনের সবচেয়ে বড় ভয় হল সাপ।

শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, মায়ের সাজগোজ করা দেখতেন, যখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র চার বছর।

তিনি তাঁর মাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী হিসেবে মনে করতেন।

জীবনে সবচেয়ে বেশি কাকে শ্রদ্ধা করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে গগিন্স তাঁর স্ত্রীর কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “আমার স্ত্রীর প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল, কারণ আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু অতিক্রম করেছি এবং অনেক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি।”

টাকার প্রতি তাঁর এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে, যা তিনি নিজের দুর্বলতা হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, পরিবারের জন্য যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতে না পারার একটা গভীর দুশ্চিন্তা তাঁর মধ্যে রয়েছে।

ক্যামেরার সামনে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি হেসে বলেন, একবার শ্যুটিং-এর সময় তাঁর মুখ থেকে শব্দ বের হয়েছিল।

গগিন্সের মতে, তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হল বালু এবং মাটির একটি সংগ্রহ, যা তাঁর জীবনের পথচিহ্নস্বরূপ।

তিনি যদি কোনো অতিমানবিক ক্ষমতা পেতেন, তবে সেটি হত আকর্ষণীয়তা।

খারাপ ওয়াইন এবং যানজট তাঁকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করে।

নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট নন।

বিশেষ করে তাঁর হাসিটা তাঁর পছন্দ নয়।

পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর সামনের দুটি দাঁত ভেঙে গিয়েছিল, এবং তিনি তাঁর আগের সুন্দর দাঁতগুলো মিস করেন।

গগিন্স-এর মতে, তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভালোবাসা তাঁর ছেলে অগাস্টাস।

ভালোবাসা কেমন, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভালোবাসা হলো আবেগপূর্ণ, গৌরবময় এবং একই সঙ্গে সবকিছু অনুভব করার মতো।”

জীবনে সবচেয়ে বড় দুঃখের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, কাজের কারণে ছেলের থেকে দূরে থাকতে হয়, যা তাঁকে কষ্ট দেয়।

তিনি চান মানুষ তাঁকে একজন অনন্য মানুষ হিসেবে স্মরণ করুক।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *