কাতারে নিহত মার্কিন জিম্মিদের দেহাবশেষ উদ্ধারের মিশনে নেতৃত্ব দিচ্ছে কাতার। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে নিহত হওয়া মার্কিন জিম্মিদের মরদেহ খুঁজে বের করার জন্য এই অনুসন্ধান অভিযান চালানো হচ্ছে।
খবর অনুযায়ী, প্রায় এক দশক আগে আইএস জঙ্গিরা এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটিয়েছিল। বুধবার থেকে কাতারের আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এই অভিযান শুরু করেছে।
খবরে প্রকাশ, এখন পর্যন্ত তিনটি অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই মিশনে নিহত মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে রয়েছেন ত্রাণকর্মী পিটার ক্যাসিগ।
২০১৪ সালে সিরিয়ার ডাবিক অঞ্চলে আইএস জঙ্গিরা তাকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করে। এছাড়াও, মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলি ও স্টিফেন সোটলফ এবং ত্রাণকর্মী কাইলা মুয়েলারও এই জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে নিহত হয়েছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশই সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আগে দেশটির নতুন সরকারের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চাইছে। এমন পরিস্থিতিতে কাতারের এই উদ্যোগ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন কাতার সফর এবং সিরিয়ার নতুন সরকারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়গুলোও এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জসিম আল থানির ওয়াশিংটন সফরের সময় এই অনুসন্ধান মিশন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
এই অনুসন্ধানে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা তাঁদের স্বজনদের মরদেহ খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জেমস ফোলির মা ডায়ান ফোলি বলেছেন, “আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ যারা এই কঠিন কাজটি করছেন এবং আমাদের ছেলের দেহাবশেষ খুঁজে বের করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, একসময় আইএস সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করত এবং বহু মানুষকে বন্দী করে তাদের হত্যা করত।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে তারা পশ্চিমা জিম্মিদের শিরশ্ছেদ করার ভিডিও প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। আইএস দমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ ৮০টির বেশি দেশ সমন্বিতভাবে অভিযান চালিয়েছিল।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে আইএস-এর শেষ ঘাঁটি পতনের মধ্য দিয়ে ওই অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা