যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে একটি মর্মান্তিক ঘটনায় এক ব্যক্তি তার প্রেমিকার শিশুদের সামনে একটি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অভিযুক্ত জিম্মি উইগিন্স জুনিয়র নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঘটনার পর তিনি পালিয়ে গেলেও পরে তাকে একটি নদীতে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে মিলান টাউনশিপে, যা ওহাইও রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ই মে, ৪৬ বছর বয়সী উইগিন্স জুনিয়র তার প্রেমিকা গ্রেচেন হাওয়ার্ডের শিশুদের সামনে হ্যামার দিয়ে কুকুরটিকে হত্যা করেন।
ঘটনার সময় শিশুরা চিৎকার করে ওঠে এবং স্থানীয় পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি রক্তাক্ত হাতুড়ি খুঁজে পায়। এরপর তারা জানতে পারে, উইগিন্স জুনিয়র পালিয়ে গেছেন।
তদন্তকারীরা দ্রুতই তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। পরে তারা তাকে একটি নদীর মধ্যে গাছের সাথে ধরে থাকতে দেখেন এবং তাকে আটক করেন।
এদিকে, হাওয়ার্ডকেও মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সময় হাওয়ার্ডের বাড়িটি অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির পরিবেশ ছিল “অসহনীয়”। শিশুদের দেখভালের ক্ষেত্রে অবহেলার অভিযোগে হাওয়ার্ডের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উইগিন্স জুনিয়রের বিরুদ্ধে শিশুদের জীবন বিপন্ন করা, আলামত নষ্ট করা, পশু নির্যাতন এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে হাওয়ার্ডের বিরুদ্ধে শিশুদের জীবন বিপন্ন করা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। উইগিন্স জুনিয়রের জামিনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা), যেখানে হাওয়ার্ডের জামিনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০,০০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ২১ লক্ষ টাকা)।
আদালতে শুনানির জন্য হাওয়ার্ডকে আগামী ১২ই মে এবং উইগিন্স জুনিয়রকে ১৬ই মে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিশুদের আপাতত সরকারি তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, ঘটনার শিকার হওয়া কুকুরটির অন্য একটি বাড়িতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরে, পশু অধিকার এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল