প্রতিবেশীর উঠানে ছেলের গর্ত খোঁড়া নিয়ে বিবাদ, ‘ভিলেন’ বনে গেলেন বাড়ির মালিক।
একটি শান্ত ও নিরিবিলি শহরতলির পরিবেশে, যেখানে প্রতিবেশী সম্পর্কের মাঝে সৌজন্যতা বজায় থাকে, সেখানে এক ব্যক্তির বাড়ির উঠানে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা বর্তমানে আলোচনার বিষয়। বাড়ির মালিক তার প্রতিবেশী এক শিশুর উঠানে গর্ত খোঁড়া নিয়ে আপত্তি জানালে, অপ্রত্যাশিতভাবে বাধে বিপত্তি।
ছেলেটি তার উঠানে ‘খুঁজে পাওয়া ধন’ লুকানোর জন্য গর্ত খুঁড়ছিল। বিষয়টি নিয়ে ছেলের মায়ের প্রতিক্রিয়ার জেরে তৈরি হয় এক জটিল পরিস্থিতি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন বাড়ির মালিক লক্ষ্য করেন যে তার উঠানে, বিশেষ করে একটি শেডের পাশে, মাটি খোঁড়া হচ্ছে। তিনি দেখেন, প্রতিবেশী পরিবারের নয় অথবা দশ বছর বয়সী একটি ছেলে সেখানে জলদস্যুর বেশে খেলছে এবং মাটি খুঁড়ে চলেছে।
ছেলেটি জানায়, সে তার ‘গুপ্তধন’ লুকানোর জন্য এই কাজ করছে। এতে বাড়ির মালিক আপত্তি জানালে, ছেলেটি মন খারাপ করে সেখান থেকে চলে যায়।
পরের দিন, বাড়ির মালিক দেখেন আগের চেয়েও বড় একটি গর্ত খোঁড়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি টিফিন বাটি দেখা যাচ্ছে। তিনি সেটি তুলে দেখেন, বাটির মধ্যে ছিল কিছু পোকেমন কার্ড, খেলনা, কয়েকটি মুদ্রা এবং কিছু পাঁচ ডলারের নোট।
এরপর তিনি ছেলের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি জানান।
কিন্তু এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যা ঘটল, তা ছিল অপ্রত্যাশিত। ছেলের মা কোনো প্রকার ক্ষমা না চেয়ে বরং বাড়ির মালিকের উপর ক্ষিপ্ত হন।
তিনি জানান, তার ছেলে তো তার কল্পনাশক্তির ব্যবহার করছে, এতে বাধা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, ‘তোমার ঘাস তো এমনিতেই তেমন ভালো না!’।
এই কথায় হতবাক হয়ে যান বাড়ির মালিক। তিনি তখন পরিষ্কারভাবে জানান, তিনি চান না কেউ তার উঠানে গর্ত করুক।
এর কিছুক্ষণ পরই তিনি একটি দীর্ঘ টেক্সট মেসেজ পান, যেখানে মা অভিযোগ করেন যে, তার ছেলে অপমানিত হয়েছে এবং তার কল্পনাকে নষ্ট করা হয়েছে। ছেলেটি সারাক্ষণ কেঁদেছে এবং এখন বাড়ির মালিককে তার গল্পের ‘ভিলেন’ মনে করে।
এই ঘটনার পর, বাড়ির মালিক অনলাইনে একটি ফোরামে (Reddit) বিষয়টি তুলে ধরেন। সেখানে তিনি জানতে চান, প্রতিবেশীর ছেলেকে উঠানে গর্ত করতে না দেওয়ায় তিনি কি ভুল করেছেন?
ফোরামের অধিকাংশ সদস্য বাড়ির মালিকের প্রতি সমর্থন জানান। তাদের মতে, বাড়ির মালিক তার অধিকার রক্ষা করেছেন এবং প্রতিবেশীর ছেলেকে তার সৃজনশীলতাকে কিভাবে সঠিক পথে ব্যবহার করতে হয়, সে বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া উচিত।
কেউ কেউ মন্তব্য করেন, ছেলেটি বড় হয়ে যখন সম্পর্ক তৈরি করতে সমস্যা অনুভব করবে, তখন সে বুঝতে পারবে তার এই সমস্যার মূল কারণ।
এই ঘটনা প্রতিবেশী সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে। এখানে একদিকে যেমন শিশুদের কল্পনাকে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তেমনি অন্যের সম্পত্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াটাও জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপল