মা’কে হত্যার পর ‘খুনের কৌশল’ খুঁজে আসামি!

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুই শহরে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংঘটিত এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবশেষে একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

নিহত আলভাটাইন থমাস (৩১) নামের এক নারীর প্রাক্তন প্রেমিক কার্ল মেবেরি (৩৪)-এর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ।

আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৭শে ডিসেম্বর তারিখে থমাসকে তার নিজ বাসভবনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং তার মাথায় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ পেঁচানো ছিল।

এছাড়া, তার দেহে ব্লিচ ঢেলে দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় মেবেরি কর্মস্থলে ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, তিনি কর্মক্ষেত্র থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বের হয়ে গিয়েছিলেন এবং ফিরে আসার সময় তার পোশাক পরিবর্তন করা ছিল, যা দেখে তাকে বেশ বিচলিত মনে হচ্ছিল।

তদন্তকারীরা মেবেরির ফোন পরীক্ষা করে ঘটনার সময় “প্রথম-ডিগ্রি হত্যার সংজ্ঞা” এবং “মিজুরিতে ‘সে বলেছিল, সে বলেছিল’-এর ভিত্তিতে কি হত্যার অভিযোগ প্রমাণ করা যায়?” – এমন কিছু বিষয় গুগলে খোঁজার প্রমাণ পান।

আদালতের নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, থমাসের মৃত্যুর পর মেবেরি নাকি একজনকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

সেই বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, “আমার সন্তানের মাকে রান্নাঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যার মাথায় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ পেঁচানো ছিল।”

এমনকি, তিনি একজন ফৌজদারি আইনজীবীর কাছে খুনের মামলায় আইনি সহায়তার খরচ সম্পর্কেও জানতে চেয়েছিলেন।

নিহত আলভাটাইন থমাসের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মেবেরির সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না।

তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

নিহত নারীর বোন দেওয়ানা কোলম্যান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হওয়ায় তিনি কিছুটা শান্তি অনুভব করছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমি তাকে ভালোবাসি এবং মিস করি।

বড় কষ্ট হয়।

আমি কখনোই ভাবিনি যে বড়দিনের দিনটিই হবে তাকে আমার শেষ দেখা।”

আরেক বোন, চেনিইশ জনসন জানিয়েছেন, প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ শুনে তিনি খুশি হলেও মনে করেন, এর মাধ্যমে হয়তো ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, “সে (আলভাটাইন) নেই, আমরা তাকে আর ফিরে পাবো না।

তার সন্তানরা তাকে আর দেখতে পাবে না, অথচ সে (মেবেরি) এখনো খাচ্ছে, গোসল করছে এবং বাথরুম ব্যবহার করছে।”

আদালতের রেকর্ড থেকে জানা যায়, এর আগেও মেবেরির বিরুদ্ধে মারধর এবং আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ ছিল, যে কারণে তিনি বর্তমানে জামিনে ছিলেন।

বর্তমানে তিনি কোনো জামিন ছাড়াই সেন্ট লুই সিটি জাস্টিস সেন্টারে আটক রয়েছেন।

যদি কোনো ব্যক্তি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন, তবে বাংলাদেশে উপলব্ধ সহায়তা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *