লেডি গাগা নিয়ে জন লাইডনের গোপন ভালো লাগা!

জন লিডন: সঙ্গীতের এক ভিন্ন পথে চলা শিল্পী।

সঙ্গীতের জগতে জন লিডন, যিনি একসময় জনি রটেন নামে পরিচিত ছিলেন, তাঁর স্পষ্টবাদীতা এবং বিদ্রোহের জন্য সুপরিচিত। সেক্স পিস্তলস ব্যান্ডের প্রধান হিসেবে তাঁর উত্থান ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা।

সম্প্রতি, এই কিংবদন্তি শিল্পী তাঁর পছন্দের কিছু গানের তালিকা প্রকাশ করেছেন, যা তাঁর সঙ্গীত জীবনের বিভিন্ন দিক উন্মোচন করে। এই তালিকাটি কেবল গানের একটি সংগ্রহ নয়, বরং সঙ্গীতের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।

জন লিডনের সঙ্গীত জীবনের প্রথম দিকের অনুপ্রেরণাগুলির মধ্যে ছিল ১৯৬০-এর দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দ্য কিস’। তাঁদের ‘ইউ রিয়েলি গট মি’ গানটি শুনে তিনি এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে, গানের কঠিন গিটার শুনে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি মনে করেন, এই গানের গীতিকার রে ডেভিস ছিলেন ব্রিটেনের অন্যতম সেরা শিল্পী। পরবর্তীতে, কেনি রজার্সের ‘রুবি, ডোন্ট টেক ইউর লাভ টু টাউন’ গানটি ছিল তাঁর কেনা প্রথম একক গানের একটি।

এই তালিকায় আরও একটি চমকপ্রদ নাম হল লেডি গাগা। জন লিডন স্বীকার করেছেন যে, লেডি গাগার কণ্ঠ এবং তাঁর গানগুলি তাঁর ভালো লাগে।

যদিও তিনি কর্পোরেট মানসিকতাকে পছন্দ করেন না, তবুও লেডি গাগার প্রতি তাঁর দুর্বলতা রয়েছে।

জন লিডনের পছন্দের তালিকায় আরও রয়েছে ‘দ্য ডোর্স’ ব্যান্ডের ‘দ্য স্পাই’ এবং ‘ওয়েটিং ফর দ্য সান’ গান দুটি। এই গানগুলি তাঁর মস্তিষ্কে সবসময় বাজে।

এছাড়াও, ক্যাপ্টেন বিফহার্টের ‘মুনলাইট অন ভারমন্ট’ গানটি তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। গানটির গভীরতা এবং সঙ্গীতের ভিন্ন ধারার প্রতি তিনি আকৃষ্ট হয়েছিলেন।

তবে, সব গান যে তাঁর ভালো লাগে, তা কিন্তু নয়। অ্যালভিন স্টারডাস্টের ‘মাই কু কা চু’ গানটি তিনি আর শুনতে পারেন না।

জন লিডনের মতে, বন্ধুদের সাথে পার্টিতে বাজানোর জন্য সেরা গান হল, “শো মি দ্য ওয়ে টু গো হোম”।

আর তাঁর অন্তিম ইচ্ছানুযায়ী, তাঁর শেষকৃত্যে বাজানো হোক মোজার্টের ‘রেকুইয়েম’। কারণ এই গানটি তাঁর কাছে আত্ম-গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।

জন লিডনের এই গানগুলির তালিকা সঙ্গীতের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগের প্রমাণ। তাঁর পছন্দের এই গানগুলি বিভিন্ন ধারার এবং সময়ের, যা তাঁর রুচির বৈচিত্র্যকে তুলে ধরে।

পাবলিক ইমেজ লিমিটেড (PiL) -এর আসন্ন ট্যুরের ঘোষণা করেছেন তিনি।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *