সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মেয়েদের মানুষ করা: বিল গেটস-এর মেয়ের বিস্ফোরক মন্তব্য!

বিল গেটসের কন্যা জেনিফার গেটস, আজকের ডিজিটাল যুগে শিশুদের মানুষ করা নিয়ে মুখ খুললেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমের যুগে বেড়ে ওঠা তার দুই মেয়ের জীবন কেমন, সেই বিষয়ে তাঁর ভাবনা।

ছোটবেলায় যখন সামাজিক মাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) এতটা প্রভাবশালী ছিল না, সেই সময়ের সঙ্গে বর্তমানের তুলনা করে জেনিফার জানান, তাঁর বেড়ে ওঠা এবং এখনকার শিশুদের জীবনযাত্রায় অনেক পার্থক্য রয়েছে। তিনি মনে করেন, সন্তানদের নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে এবং তাদের অনলাইন উপস্থিতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।

জেনিফার, যিনি বর্তমানে একজন চিকিৎসক (পেডিয়াট্রিক রেসিডেন্ট), তাঁর দুই মেয়ে, ২ বছর বয়সী লেইলা এবং ৭ মাস বয়সী মিয়ার মা। তিনি বলেন, “আমি সবসময় আমার মেয়েদের ব্যক্তিগত জীবন এবং তাদের ভালো-মন্দের বিষয়ে আলোচনা করি। তবে তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়াটাও জরুরি।”

তাঁর মা, বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসও একই ধরনের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন জেনিফার এবং তাঁর ভাই-বোনদের। জেনিফার বলেন, “ছোটবেলায় আমাদের মুখ বা নাম প্রকাশ্যে আসত না, কারণ তখন সামাজিক মাধ্যম এতটা ছিল না। এর ফলে স্কুলে যাওয়া বা স্বাভাবিক জীবন কাটানো সহজ ছিল।”

জেনিফার তাঁর দুই মেয়ের ব্যক্তিত্বের ভিন্নতা নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, লেইলা খুবই জেদি এবং স্পষ্টভাষী, সেই সঙ্গে সে খুব হাসিখুশি। অন্যদিকে, ছোট মেয়ে মিয়া শান্ত ও চুপচাপ। জেনিফার মনে করেন, তাঁর দুই মেয়ের এই ভিন্নতা মা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতার প্রতিফলন।

দুই সন্তানের মা হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জেনিফার স্বীকার করেন, শিশুদের ভালোভাবে মানুষ করার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা তাঁর রয়েছে। তিনি বলেন, “আমার জীবনযাত্রা অনেক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন। আমি কর্মজীবন থেকে বিরতি নিতে পারি, আমার সন্তানদের জন্য ভালো মানের ডে-কেয়ারের ব্যবস্থা করতে পারি, এবং শ্বশুর-শাশুড়ি ও বাবা-মায়ের কাছ থেকে সাহায্য পাই।”

তবে এত সুযোগ সুবিধা সত্ত্বেও, দুই শিশুকে একসঙ্গে সামলানো যে বেশ কঠিন, সে কথাও তিনি উল্লেখ করেন। ডায়াপার পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে তাদের খাবার এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক বিষয়গুলো দেখাশোনা করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং।

সবশেষে জেনিফার গেটস বর্তমান ডিজিটাল যুগে শিশুদের মানুষ করার বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন এবং মা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *