কান চলচ্চিত্র উৎসব: ২০২৩ সালের সবচেয়ে বড় চমক!

কান চলচ্চিত্র উৎসব: ২০২৩ সালের প্রস্তুতি, হলিউডের তারকা সমাবেশ ও চলচ্চিত্র শিল্পের ভবিষ্যৎ।

প্রতি বছর মে মাসে কান চলচ্চিত্র উৎসবে যেন তারার মেলা বসে। ২০২৩ সালেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

আগামী ১৩ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উৎসবে বিশ্ব চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের আনাগোনা দেখা যাবে, যেখানে তারা মিলিত হবেন এবং চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন।

কান চলচ্চিত্র উৎসব শুধু একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীই নয়, বরং এটি বিশ্ব চলচ্চিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যা অস্কারের দৌড়েও প্রভাব ফেলে।

এবারের উৎসবে হলিউডের একঝাঁক তারকা তাদের ছবি নিয়ে হাজির হবেন।

টম ক্রুজ তার ‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমাটি নিয়ে আসছেন।

এই সিনেমায় তিনি দর্শকদের মন জয় করতে পারবেন কিনা, সেদিকে সিনেমাপ্রেমীদের নজর থাকবে।

এছাড়াও, রবার্ট ডি নিরোকে সম্মানসূচক পাম দর প্রদান করা হবে।

স্পাইক লি, যিনি ২০২১ সালে জুরি বোর্ডের প্রধান ছিলেন, এবার ‘হাইয়েস্ট টু লোয়েস্ট’ সিনেমাটি নিয়ে আসছেন, যেখানে ডেনজেল ওয়াশিংটনকে দেখা যাবে।

উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে সিনেমা নিয়ে আসছেন অনেক খ্যাতিমান পরিচালক।

এদের মধ্যে রয়েছেন বেলজিয়ামের দারদেন ব্রাদার্স, ইউক্রেনের সের্গেই লোজনিসা এবং স্কটল্যান্ডের লিন র‍্যামসে।

এছাড়াও, ওয়েস অ্যান্ডারসন তার নতুন সিনেমা ‘দ্য ফিনিশিয়ান স্কিম’ নিয়ে আসছেন, যেখানে বিল মারে, জেফরি রাইট, রিজ আহমেদ এবং মিয়া থ্রেপলেটনের মতো তারকারা অভিনয় করেছেন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে শুধু খ্যাতিমান পরিচালক এবং অভিনেতারাই নন, বরং তরুণ নির্মাতাদেরও কাজের সুযোগ থাকে।

‘আন সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে তরুণ নির্মাতাদের ছবি প্রদর্শিত হয়।

এখানে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট, স্কারলেট জোহানসন এবং হ্যারিসন ডিকিনসনের মতো তারকারা তাদের ছবি নিয়ে আসছেন।

চলচ্চিত্র উৎসবের এই আয়োজনে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও উঠে আসে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি কিছু সিনেমা এখানে প্রদর্শিত হবে।

ইরানের চলচ্চিত্র নির্মাতা নাদাভ লাপিদের ‘ইয়েস!’ সিনেমাটি অক্টোবর মাসের হামলার প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে।

তবে, সিনেমার বাইরেও এবারের উৎসবে আলোচনার বিষয় হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলচ্চিত্র শিল্পের উপর শুল্ক আরোপের প্রস্তাব।

যদি এটি কার্যকর হয়, তবে তা চলচ্চিত্র শিল্পের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে, সেই বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।

কানের এই উৎসব শুধু একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী নয়, বরং এটি বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ।

এখানে প্রদর্শিত সিনেমাগুলো প্রায়ই অস্কারের দৌড়ে এগিয়ে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০১৯ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবি নির্বাচিত হয়েছিল ‘প্যারাসাইট’, যা পরবর্তীতে অস্কারেও সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছিল।

সুতরাং, ২০২৩ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসব চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ হতে যাচ্ছে।

এখানে একদিকে যেমন হলিউডের তারকাদের ঝলক দেখা যাবে, তেমনি বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *