শিরোনাম: শাশুড়ি (Mother-in-law)-র ঘন ঘন আসা: কিভাবে পারিবারিক সম্পর্কে ভারসাম্য আনবেন?
বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। আত্মীয়-স্বজনের সান্নিধ্যে বসবাস করা, একসঙ্গে সময় কাটানো—এগুলো আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তবে, অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যেকার সম্পর্ক, বিশেষ করে বিবাহিত জীবনে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা অনলাইনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেখানে এক ব্যক্তি তাঁর শাশুড়ির (mother-in-law) ঘন ঘন বাড়িতে আসা নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ওই ব্যক্তির শাশুড়ি তাঁদের বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে থাকেন না। প্রায় প্রতিদিনই তিনি ওই ব্যক্তির বাড়িতে আসেন এবং সেখানে দীর্ঘ সময় কাটান। সমস্যা হলো, তিনি প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে বাড়িতে থাকেন এবং নিজের মতো করে সময় কাটান।
এমনকি তিনি নিজের খাবারও সঙ্গে নিয়ে আসেন!
ওই ব্যক্তি জানান, তাঁর শাশুড়ি প্রায়ই কোনো ঘোষণা ছাড়াই তাঁদের বাড়িতে হাজির হন। তিনি যেহেতু একটি দূরবর্তী স্থানে বসে কাজ করেন, তাই দিনের বেশিরভাগ সময়টাই বাড়িতে কাটান।
ফলে শাশুড়ির উপস্থিতির কারণে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর ব্যক্তিগত সময় কাটানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাঁদের ছেলেমেয়েরা স্কুল থেকে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত শাশুড়ি বাড়িতেই থাকেন, যা তাঁদের দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলে।
ওই ব্যক্তি আরও উল্লেখ করেছেন, তাঁর শাশুড়ি একটু জেদী স্বভাবের। তাই, কিছু বলতে গেলে তিনি হয়তো খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, এবং এর ফলস্বরূপ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।
এই কারণে তিনি সরাসরি কিছু বলতেও দ্বিধা বোধ করছেন।
এই পরিস্থিতিতে, ওই ব্যক্তি অনলাইনে পরামর্শ চেয়েছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, শাশুড়িকে তাঁর বাড়িতে আসা বন্ধ করতে বলা উচিত কিনা।
তিনি আশঙ্কা করছেন, এমনটা করলে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতে পারে। কারণ, তিনি তাঁর শাশুড়িকে ১১ বছর ধরে চেনেন এবং তাঁদের মধ্যে আগে তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা চলছে। অনেকেই ওই ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধান খুঁজে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তাঁদের মতে, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলা উচিত এবং তাঁদের ব্যক্তিগত স্থান ও সময়ের প্রয়োজনীয়তা বোঝানো উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক সম্পর্ক ভালো রাখতে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও স্পষ্ট সীমানা নির্ধারণ করা জরুরি। বিশেষ করে বয়স্ক আত্মীয়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তাঁদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানানো এবং একই সঙ্গে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের স্বাধীনতা বজায় রাখা প্রয়োজন।
কোনো সমস্যা হলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত, যাতে সম্পর্কের অবনতি না হয়।
তথ্যসূত্র: পিপল