পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ-র একটি বিশাল শপিং মলে গত বছর সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের পেছনে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পোল্যান্ডের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ১২ই মে, ২০২৪ তারিখে ‘মারিভিলস্কা ৪৪’ নামক শপিং সেন্টারটিতে আগুন লাগে, যেখানে প্রায় ১,৪০০টি দোকান ও পরিষেবা কেন্দ্র ছিল।
এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বহু সংখ্যক ছিলেন ভিয়েতনামের ব্যবসায়ী।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা এখন নিশ্চিত যে মারিভিলস্কাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ছিল রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক পরিকল্পিত একটি নাশকতা। রাশিয়ায় বসবাসকারী একজন ব্যক্তি এই ঘটনার পরিকল্পনা করেন।
কিছু অপরাধীকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে, অন্যদের চিহ্নিত করে খোঁজা হচ্ছে এবং আমরা তাদের সকলকে ধরব।”
পোল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “১২ই মে-র আগুনে ১,৪০০টি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। ঘটনার তদন্তে পুলিশ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এক বছর ধরে কাজ করছে।”
তাঁরা আরও জানান, তদন্তে ১২১ দিন ধরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, যেখানে ৫৫ জন প্রসিকিউটর, ১০০ জন পুলিশ অফিসার কাজ করেছেন এবং ৭০ জনের বেশি প্রত্যক্ষদর্শী ও ৫০০ জনের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
পোলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অগ্নিসংযোগ ছিল রাশিয়ার সমন্বিত একটি ধ্বংসাত্মক অভিযানের অংশ। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলেছেন।
পোল্যান্ড সরকার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী দেশ লিথুয়ানিয়ার সঙ্গেও সহযোগিতা করছে। তবে, রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইউরোপে রাশিয়ার এই ধরনের গোপন অভিযান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। পোল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ধরনের নাশকতামূলক কাজের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি করতে তারা বদ্ধপরিকর।
তথ্যসূত্র: সিএনএন