বড় সুখবর! বাণিজ্য আলোচনায় সাফল্যের পর লাফিয়ে বাড়ছে শেয়ার বাজার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে বলে খবর পাওয়ার পর রবিবার শেয়ার বাজারের ভবিষ্যৎ সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এই অগ্রগতি দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য বিরোধের অবসান ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, চীনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় ‘যথেষ্ট উন্নতি’ হয়েছে। এই খবরের পরেই বাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যায়।

এর ফলস্বরূপ, বাজারের ভবিষ্যৎ সূচকগুলি দ্রুত বাড়তে শুরু করে। ডাউ ফিউচার্স ১.১ শতাংশ বা ৪৫৬ পয়েন্ট বেড়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচার্স ১.২৫ শতাংশ বা ৭০.৭৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে প্রযুক্তি-নির্ভর নাসডাক কম্পোজিট ফিউচার্স ১.৪৪ শতাংশ বা ২৯০ পয়েন্টের বেশি বেড়েছে।

জানা গেছে, গত মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্যের উপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করার পর উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে। চীনও এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জ্যামিসন গ্রিয়ার এবং অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে চীনা কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর পর বাজারের অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন ছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাণিজ্য আলোচনার ফলস্বরূপ বিশ্ববাজারে স্থিতিশীলতা আসতে পারে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ইতিবাচক হতে পারে। কারণ, বাণিজ্য উত্তেজনা কমলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাংলাদেশের বাণিজ্যখাতেও এর সুফল দেখা যেতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদকেরা চীনের বাজারের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন। একইসঙ্গে, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও সুবিধা হবে।

আলোচনায় অগ্রগতির খবর নিঃসন্দেহে একটি ভালো দিক। তবে, এই আলোচনা কতদূর গড়ায় এবং এর চূড়ান্ত ফল কী হয়, সেদিকে এখন সবার নজর। বাণিজ্য বিরোধের স্থায়ী সমাধানে উভয় দেশের সরকারকেই আরও নমনীয় হতে হবে।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *