আর্নোল্ড শোয়ার্জেনেগারের ছেলে, ক্রিস্টোফার শোয়ার্জেনেগার, কিভাবে ওজন কমিয়ে জীবনের মোড় ঘুরিয়েছেন, সেই গল্প এখন সবার মুখে মুখে।
সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত ‘বিচার ভাইটালিটি হ্যাপি অ্যান্ড হেলদি সামিট’-এ তিনি তার এই পরিবর্তন নিয়ে মুখ খোলেন।
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যাত্রাপথে তিনি কিভাবে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন, সেই কথাই বলেছেন সকলের সাথে।
ক্রিস্টোফার জানান, ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে গিয়ে তিনি প্রথম উপলব্ধি করেন তার অতিরিক্ত ওজনের কারণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কত সমস্যা হচ্ছে।
বন্ধুদের সাথে স্কাইডাইভিং করতে না পারার কষ্ট তাকে নাড়িয়ে দেয়। সেই থেকেই তিনি ওজন কমানোর বিষয়ে সিরিয়াস হন।
ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতেন ক্রিস্টোফার।
স্কুলের টিফিনে বিশেষ ধরনের খাবার নিতেন তিনি, যা অন্যদের কাছে বেশ অদ্ভুত লাগত।
ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ফল পেতে অনেক সময় লেগেছে।
অবশেষে, তিনি লেন্ট-এর সময় রুটি খাওয়া বন্ধ করেন।
এই ব্রত পালনের মাধ্যমে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো ফল পান এবং মাত্র দুই মাসের মধ্যে প্রায় ৩০ পাউন্ড ওজন কমাতে সক্ষম হন।
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলো লেন্ট।
এই সময়ে অনেকেই বিশেষ ত্যাগ স্বীকার করে থাকেন।
ক্রিস্টোফারও সেই সময়টাতে রুটি খাওয়া ত্যাগ করেন এবং এর মাধ্যমেই তার ওজন কমার প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হয়ে যায়।
এই বিষয়ে ক্রিস্টোফার বলেন, “আমি এখনো মনে করি, আমার যাত্রা শেষ হয়নি।
এখনো অনেক পথ চলা বাকি।”
ভাই প্যাট্রিক শোয়ার্জেনেগারও তার ভাইয়ের এই পরিবর্তনে গর্বিত।
২০১৬ সালে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ক্রিস্টোফারের শরীরচর্চার প্রতি আগ্রহের প্রশংসা করে একটি পোস্ট করেছিলেন।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও শারীরিক সুস্থতার গুরুত্ব আমাদের সমাজে অনেক।
ক্রিস্টোফারের এই গল্প আমাদের সকলের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং আত্ম-অনুশীলনের মাধ্যমে আমরাও আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারি।
তথ্য সূত্র: পিপল