টিকিট হস্তান্তরে জটিলতা: নাতির জন্য কেনা লিডস ফেস্টিভ্যালের টিকিট নিয়ে বিপাকে দাদা।
ডিসেম্বরের শুরুতে, নাতির জন্য ক্রিসমাসের উপহার হিসেবে দুটি দিনের লিডস ফেস্টিভ্যালের টিকিট কিনেছিলেন একজন দাদা। টিকিট কাটার পর তিনি জানতে পারেন যে তাৎক্ষণিকভাবে টিকিটগুলো হস্তান্তর করা সম্ভব নয়।
টিকিট কেনার সময় এমন কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
এরপর তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য টিকেটমাস্টারের গ্রাহক পরিষেবা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা জানান, উৎসবের কাছাকাছি সময়ে টিকিট হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।
তবে, সমস্যা হলো, নাতির জন্য ডান্ডি থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করাটা সময়সাপেক্ষ।
ভুক্তভোগী মনে করেন, টিকেটমাস্টার তার ভোক্তা অধিকারকে খাটো করছে। তিনি বিষয়টি টিকিট এজেন্সি ও রিটেইলারদের সংস্থাকেও জানান, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
বর্তমানে অনলাইন টিকিট কেনার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে, যার প্রধান কারণ টিকেটমাস্টারের মতো বৃহৎ সংস্থাগুলোর একচেটিয়া ব্যবসা।
বিশ্বব্যাপী কনসার্টের টিকিটের প্রায় ৭০ শতাংশই তাদের মাধ্যমে বিক্রি হয়।
ডিজিটাল যুগে ই-টিকিটের চল বেড়েছে এবং যেকোনো অনুষ্ঠানে প্রবেশের জন্য স্মার্টফোন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টিকিট হস্তান্তরের এই সীমাবদ্ধতা অনেক সময় হতাশাজনক হয়।
যদিও কাগজের টিকিট হলে সম্ভবত উৎসবের আগে হাতে পাওয়া যেত না, কারণ উৎসবটি আগস্ট মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হয়।
টিকিট ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বর্তমানে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হলো টিকিট কালোবাজারি বা বা scalping বন্ধ করা।
অনেক সময় চাহিদা সম্পন্ন অনুষ্ঠানের টিকিটগুলো আয়োজকরা একেবারে শেষ মুহূর্তে বিক্রি করে, যাতে সেগুলো দ্রুত অন্য ওয়েবসাইটে বিক্রি হতে না পারে।
সাধারণত, টিকেটমাস্টারে কেনা টিকিট হস্তান্তর করা যায়।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে শিল্পী বা ভেন্যু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এই সুবিধা বন্ধ থাকতে পারে।
লিডস ফেস্টিভ্যালের টিকিট হস্তান্তরের বিষয়টি টিকেটমাস্টার নয়, বরং আয়োজক ‘ফেস্টিভাল রিপাবলিক’ নির্ধারণ করে।
এখনো পর্যন্ত টিকিট হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি চালু হয়নি।
টিকেটমাস্টার অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে যে, পরবর্তীতে টিকিট হস্তান্তরের সুযোগ পাওয়া যাবে, কিন্তু পুরো বিষয়টি নিয়ে ওই দাদা এখনো অসন্তুষ্ট।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান