বাহু যুদ্ধের নতুন উত্থান: আফ্রিকা কাঁপানো সাফল্যের গল্প!

আফ্রিকার বুকে জনপ্রিয়তা বাড়ছে বাহুবলের (Arm Wrestling)। সম্প্রতি ঘানাতে অনুষ্ঠিত হওয়া আফ্রিকান গেমসে এই খেলার অন্তর্ভুক্তি প্রমাণ করে এর ক্রমবর্ধমান কদর। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির জানান দিচ্ছে তারা।

আফ্রিকার দেশগুলোতে বাহুবলের উত্থান নতুন নয়। একসময় স্থানীয় পর্যায়ে শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যম হিসেবেই এর পরিচিতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে, খেলাটিকে একটি সুসংগঠিত ক্রীড়া হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।

আফ্রিকার আর্ম রেসলিং ফেডারেশন (AFA)-এর প্রেসিডেন্ট চার্লস ওসেই আসেবি’র নেতৃত্বে এই পরিবর্তন দৃশ্যমান। তিনি চান, এই খেলাটি মহাদেশের প্রতিটি ঘরে পরিচিত হোক।

আফ্রিকার গেমসে বাহুবলের অন্তর্ভুক্তির ফলে খেলোয়াড় এবং দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ বেড়েছে। ঘানাতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই আসরে, দেশীয় খেলোয়াড়দের অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে, এডওয়ার্ড আসামোয়ার মতো ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের গল্প, তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

তবে, আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টিকে থাকা সহজ নয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কাজাখস্তানের মতো দেশগুলোর আধিপত্য বিদ্যমান। তাদের ক্রীড়া কাঠামো এবং বিনিয়োগ অনেক বেশি।

তবে, আসেবি মনে করেন, সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আফ্রিকার খেলোয়াড়রাও বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে।

বাহুবলের কৌশলগত দিকটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে শুধু শারীরিক শক্তিই সব নয়, বরং কৌশল এবং গতির সমন্বয় একজন খেলোয়াড়কে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে। “টপরোল” (toproll) এবং “হুক” (hook) -এর মতো কৌশলগুলো এই খেলার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

আফ্রিকার ক্রীড়া প্রেমীদের স্বপ্ন, একদিন অলিম্পিক গেমসেও বাহুবল অন্তর্ভুক্ত হবে। আসেবি সেই লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন।

২০২৭ সালের কায়রোতে অনুষ্ঠিতব্য আফ্রিকান গেমসে খেলাটির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আফ্রিকার বাহুবলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। খেলোয়াড় এবং ফেডারেশনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, খুব শীঘ্রই এই খেলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের স্থান করে নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *