যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন হামলা!

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও রাশিয়া ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে। সোমবার ভোরে দেশটির বিভিন্ন শহরে একযোগে একশোটির বেশি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার ছোড়া ১০৮টি ড্রোন থেকে ৫৫টিকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।

সামরিক সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, ওডেসার পূর্বাঞ্চলে আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও, দনেৎস্ক অঞ্চলে রেল অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়েছে, যার ফলে একজন ট্রেন চালক আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের জাতীয় রেলওয়ে অপারেটর ‘ইউক্রাজালিজনিৎসিয়া’ এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে শত্রুরা রেল অবকাঠামোর ওপর হামলা চালাচ্ছে।

এদিকে, কিয়েভে ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা এক বৈঠকে মিলিত হয়ে রাশিয়ার প্রতি সোমবার থেকে শর্তহীন যুদ্ধবিরতি শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে শান্তি আলোচনা শুরু করা যায়।

তাদের এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

তিনি ১৫ই মে ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি আছেন। তবে, ইউরোপীয় দেশগুলোর যুদ্ধবিরতির আহ্বানের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

পুতিন বলেছেন, আলোচনায় নতুন কোনো যুদ্ধবিরতি নিয়ে আসা যেতে পারে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত আছেন, তবে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি সেই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

অন্যদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে ইউক্রেনকে পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে, ইউরোপীয় নেতারা পুতিনের এই প্রস্তাবের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, পুতিন সম্ভবত ‘সময় কেনার’ চেষ্টা করছেন।

এছাড়াও, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধের জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে সোমবার মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এই বৈঠকে রাশিয়ার আগ্রাসনে সমর্থন যোগানোর জন্য আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের চ্যালেঞ্জ শুধু ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নয়, বরং পুরো ইউরোপের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত।’

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *