মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির কাছ থেকে উচ্চমূল্যে ওষুধ কেনার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার সকালে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন, যার মূল লক্ষ্য হল এই ওষুধের দাম কমানো।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার মতে, এই আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি দেশগুলোর সেই সব “অযৌক্তিক কার্যকলাপ”-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, যা ওষুধের দাম কমাতে বাধা দেয়।
এই নতুন নীতি সরাসরি বাণিজ্যিক বাজারে ওষুধের দামের উপর প্রভাব ফেলবে, সেই সঙ্গে মেডিকেয়ার ও মেডিকেইড-এর মতো সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলিতেও এর প্রভাব পড়বে।
মেডিকেয়ার হল বয়স্ক এবং অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য একটি ফেডারেল স্বাস্থ্য বীমা প্রোগ্রাম, এবং মেডিকেইড হল কম আয়ের মানুষের জন্য রাজ্য ও ফেডারেল সরকার কর্তৃক যৌথভাবে অর্থায়িত একটি স্বাস্থ্য সহায়তা কার্যক্রম।
আদেশ অনুসারে, স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগ (Department of Health and Human Services) সমস্ত বাজারে ওষুধের দাম কমানোর জন্য আলোচনা করবে। যদি আলোচনা সফল না হয়, তবে সরকার “মোস্ট ফেভার্ড নেশন” (Most Favored Nation) মূল্য নির্ধারণের নিয়ম কার্যকর করবে।
এই নিয়মের অধীনে, ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি তাদের ওষুধের জন্য সেই মূল্যই ধার্য করতে বাধ্য হবে, যা তাদের সমতুল্য অন্য কোনো দেশে বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, যদি অন্য কোনো দেশে কোনো ওষুধের দাম কম থাকে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সেই একই দাম প্রযোজ্য হবে।
ওষুধের উচ্চমূল্য একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশকেই প্রভাবিত করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, ওষুধের দাম সরাসরি স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের উপর প্রভাব ফেলে।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়েই, ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সকলের জন্য ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি সরাসরি বাংলাদেশের উপর প্রভাব ফেলবে না, তবে আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধের দামের উপর এর একটি সম্ভাব্য প্রভাব থাকতে পারে।
এই নীতি কার্যকর হলে, তা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির দাম নির্ধারণের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে পারে। এই পরিবর্তনের ফলে উন্নত দেশগুলোতে ওষুধের দাম কমতে পারে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: CNN