মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক হ্রাস চুক্তি, যা ৯০ দিনের জন্য কার্যকর হবে, বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই চুক্তির ফলে উভয় দেশই কিছু পণ্যের ওপর থেকে শুল্কের বোঝা কমিয়ে আনবে, যা বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
এর মূল উদ্দেশ্য হলো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থিতিশীল করা এবং বিশ্ব অর্থনীতির উপর এর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব কমানো।
জানা গেছে, এই চুক্তির ফলে উভয় দেশই নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক শিথিল করতে রাজি হয়েছে। এর মধ্যে কৃষি পণ্য এবং শিল্পজাত বিভিন্ন সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে, ঠিক কোন কোন পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হবে, তা এখনো বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি। বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তির ফলে উভয় দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু শিল্পখাত কিছুটা স্বস্তি পাবে।
এই চুক্তির মেয়াদ ৯০ দিন, অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে উভয় দেশকে বাণিজ্য সংক্রান্ত জটিলতাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে কোনো সুরাহা না হয়, তাহলে শুল্কের হার পুনরায় বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বিষয়ে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে এবং বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও স্থিতিশীল করার জন্য তারা চেষ্টা করছেন।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও কিছু প্রভাব পড়তে পারে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক হ্রাসের ফলে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামের পরিবর্তন হতে পারে, যা বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যকে প্রভাবিত করবে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি চীনের কোনো পণ্যের দাম কমে, তবে তা বাংলাদেশের বাজারেও উপলব্ধ হতে পারে। আবার, বিশ্ববাজারে শুল্ক হ্রাসের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের মতো শিল্পে।
তাই, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং অর্থনীতিবিদদের এই চুক্তির প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
তবে, এই চুক্তির চূড়ান্ত ফলাফল এখনো অনিশ্চিত। এই ৯০ দিনের মধ্যে উভয় দেশ তাদের মধ্যকার বাণিজ্য বিরোধ কতটুকু কমাতে পারে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি ভালো সূচনা হতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা