মিলান ক্যাথেড্রাল থেকে ঝাঁপ, হতভম্ব সবাই!

মিলানের বিখ্যাত ডুওমো ক্যাথেড্রাল থেকে ঝাঁপ দিয়ে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ইতালির এই ব্যক্তির নাম ইমানুয়েল দে মারিয়া, বয়স ছিল ৩৫ বছর।

খবর অনুযায়ী, তিনি সম্প্রতি এক সহকর্মীকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে পলাতক ছিলেন। রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে, যখন মিলান শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্যাথেড্রাল চত্বরে বহু মানুষের আনাগোনা ছিল।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দে মারিয়া ক্যাথেড্রাল থেকে “ডজন খানেক মিটার” নিচে ঝাঁপ দেন। ঘটনার সময় তিনি সম্ভবত নিচে থাকা এক শিশুর গায়েও সামান্য আঘাত করেন, তবে শিশুটির গুরুতর কোনো ক্ষতি হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হতভম্ব হয়ে যান। ইমানুয়েল সানিতা নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আমি একটি কালো বস্তু দ্রুত নিচে পড়তে দেখি। এরপর গুলির মতো শব্দ হয়।”

পুলিশ জানিয়েছে, দে মারিয়ার শরীরে থাকা ট্যাটু দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। জানা গেছে, দে মারিয়া আগে একটি খুনের মামলায় ১৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।

তিনি প্রায় দুই বছর ধরে বার্না হোটেলে রিসেপশনিস্টের কাজ করছিলেন, যা ছিল বল্লাতে কারাগারের অনুমতিসাপেক্ষ একটি পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ।

শুক্রবার, তিনি তাঁর এক সহকর্মী হানি ফাউয়াদ আবদেলগাফফারকে ছুরিকাঘাত করার পর পালিয়ে যান। আহত আবদেলগাফফারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

পুলিশের ধারণা ছিল, দে মারিয়া সম্ভবত উত্তর ইউরোপে পালিয়ে যেতে পারেন। কারণ ২০১৬ সালে, তিনি কাস্তেল ভলতুর্নোতে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে খুন করার পর নেদারল্যান্ডসে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

পরে ২০১৮ সালে জার্মানি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দে মারিয়ার আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে। এছাড়াও, তারা একই হোটেলে কর্মরত শ্রীলঙ্কান এক নারীর মৃত্যুরহস্য নিয়েও তদন্ত করছে, যিনি শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *