গাজায় হামাস কর্তৃক আটক শেষ জীবিত মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এডান আলেকজান্ডার নামের ২১ বছর বয়সী এই তরুণকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার হামাস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গত বছরের ৭ই অক্টোবর গাজার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আলেকজান্ডারকে অপহরণ করা হয়। তিনি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার ফলস্বরূপ এই মুক্তি মিলেছে। জানা গেছে, মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছে।
আলেকজান্ডারের মুক্তির খবর তাঁর পরিবারের জন্য “অকল্পনীয় সেরা উপহার” হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাঁর মা ইয়েল আলেকজান্ডার মুক্তি পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলে রওনা হন।
তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে স্বাভাবিক, প্রাণবন্ত একজন আমেরিকান, যিনি হাসি-খুশি ও মিশুক ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনাকে “গুরুত্বপূর্ণ খবর” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি হামাসের এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি thiện মনোভাব এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টার ফল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হামাস নেতা মাহমুদ মারদাওয়ি জানিয়েছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালুর বিনিময়ে তারা আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছেন।
বর্তমানে গাজায় এখনো ৫৮ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত জিম্মিদের মধ্যে চারজন মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গাদি হাগাই ও জুডি ওয়াইনস্টেইন হাগাই দম্পতি এবং সেনা সদস্য ইতাই চেন ও ওমর নিউট্রা।
অন্যদিকে, ইসরায়েল এখনো গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালুর বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবে তারা জানিয়েছে, আলেকজান্ডারের মুক্তির জন্য একটি নিরাপদ করিডোর তৈরি করা হয়েছে।
আলেকজান্ডারের মুক্তির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন গাজায় মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাব দেখা দিয়েছে।
অনেক স্থানে খাদ্য গুদাম ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রায় খালি হয়ে গেছে।
সংবাদ সংস্থা সিএনএন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।