ডিডি কম্বস-এর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ: মামলার শুনানিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
নিউ ইয়র্কের এক আদালতে সম্প্রতি শোনানো হয়েছে ডিডি কম্বস-এর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিবরণ। এই মামলায় এক ব্যক্তি সাক্ষ্য দিয়েছেন, যিনি জানিয়েছেন, ক্যাসান্ড্রা ভেন্টুরার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তাকে কয়েক হাজার ডলার দেওয়া হয়েছিল, এবং ডিডি কম্বস নিজে সেই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতেন।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে ড্যানিয়েল ফিলিপ নামক ওই ব্যক্তি জানান, ম্যানহাটনের একটি হোটেলে ব্যাচেলর পার্টির জন্য তাকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে ক্যাসির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তাকে অর্থ দেওয়া হয়। ফিলিপের ভাষ্যমতে, ঘটনার সময় ডিডি কম্বসও সেই ঘরে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি সাদা পোশাক পরেছিলেন এবং তার মুখ বাঁধা ছিল। ফিলিপ আরও জানান, ডিডি কম্বস নিজেকে “আমদানি-রপ্তানির” ব্যবসার সাথে জড়িত বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, যদিও ফিলিপ তার কণ্ঠ শুনে তাকে চিনতে পারেন।
ফিলিপ জানিয়েছেন, ক্যাসির সাথে যৌন সম্পর্কের সময় ডিডি কম্বস এক কোণে বসে থাকতেন এবং নিজের হস্তমৈথুন করতেন। এই ঘটনার জন্য ফিলিপকে বারবার টাকা দেওয়া হয়েছে, প্রতিবার প্রায় ৬,০০০ ডলার পর্যন্ত।
এমনকি, ডিডি কম্বস কখনো কখনো তাদের কিভাবে কাজ করতে হবে, সেই বিষয়ে নির্দেশনাও দিতেন অথবা ভিডিও করতেন।
সাক্ষ্যে ফিলিপ আরও জানান, একবার ক্যাসান্ড্রা তাকে তার শরীরে প্রস্রাব করতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, “ক্যাসি আমাকে প্রস্রাব করতে বলেছিল। সে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, আমি আগে কখনো এটা করেছি কিনা। তারপর সে আমাকে এটা করতে বলে।
সম্ভবত আমি ঠিকভাবে পারছিলাম না, কারণ তারা দুজনেই আমাকে সে কথা বলেছিল।
ফিলিপের সাক্ষ্য অনুযায়ী, এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকে, তবে এরপর তিনি ডিডি কম্বসকে ক্যাসির ওপর শারীরিক নির্যাতন করতে দেখেন। এর পরেই তিনি যৌন অক্ষমতার শিকার হন।
ফিলিপ জানান, তার মনে হয়েছিল, ডিডি কম্বসের ক্ষমতা সীমাহীন। তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয়েছিল, আমি যদি পুলিশের কাছে যাই, তাহলেও হয়তো আমার জীবন চলে যেতে পারে।
সাক্ষ্যে ফিলিপ আরও জানান, তিনি ডিডি কম্বসকে ক্যাসির গালে চড় মারতে এবং ক্যাসিকে “আমি দুঃখিত” বলতে শুনেছিলেন। এরপর ক্যাসি নগ্ন অবস্থায় ঘর থেকে দৌড়ে বের হন এবং ফিলিপের কোলে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
ফিলিপ তখন ক্যাসিকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তিনি ডিডি কম্বসের সাথে থাকছেন, যেখানে জীবন হারানোর মতো বিপদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ডিডি কম্বসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে যৌন পাচার, চাঁদাবাজি এবং পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নারী পাচার। তিনি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিডি কম্বসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। বর্তমানে তিনি ব্রুকলিনের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দী রয়েছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল