নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় একটি টেলিভিশন ধারাবাহিক ছিল ‘বেওয়াচ’। সেই ধারাবাহিকে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া অভিনেত্রী নিকোল এগার্ট সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘বেওয়াচ’-এ কাজ করাটা তার জন্য খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না।
বরং এটিকে তিনি ‘ mess’ বা জঞ্জাল হিসেবে অভিহিত করেছেন।
১৯৯২ সালে ‘বেওয়াচ’-এর তৃতীয় সিজনে ‘রবার্টা সামার কুইন’ চরিত্রে যোগ দেন এগার্ট। শুরুতে তার ধারণা ছিল, এটি ‘৯o২১০’-এর মতো একটি ধারাবাহিক হতে চলেছে, যেখানে সমুদ্র সৈকতে জীবন গড়ার গল্প থাকবে।
এই ধারাবাহিকে তার বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল ডেভিড শারভেটের। কিন্তু পরবর্তীতে সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে ‘বেওয়াচ’ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এগার্ট জানান, যখন তিনি ধারাবাহিকটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তার মনে হয়েছিল, অভিনয় জগৎ থেকে তিনি নিজেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারবেন।
কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি। বরং এই ধারাবাহিকের কারণে তার উপর ‘বেওয়াচ বিম্বো’ তকমা লেগে যায়।
এর ফলস্বরূপ, ব্যক্তিগত জীবনেও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে।
এগার্ট বলেন, “লোকে তোমাকে অন্য চোখে দেখা শুরু করে।
তারা হয়তো তোমার সম্পর্কে আগে থেকেই একটা ধারণা নিয়ে বসে থাকে। ফলে, নতুন করে তাদের সঙ্গে মিশতে, পরিচিত হতে বেশ অসুবিধা হয়।”
তার মতে, তিনি বাস্তবে যেমন, অভিনয় করা চরিত্রগুলোর থেকে তিনি তেমনটা নন।
কিন্তু দর্শকদের ধারণা, তিনি সম্ভবত তেমনই।
সাক্ষাৎকারে ‘বেওয়াচ’-এর শুটিংয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এগার্ট জানান, এই ধারাবাহিকের দৌড়ানোর দৃশ্যগুলো ছিল বেশ হাস্যকর।
সম্পাদনার সময় দৃশ্যগুলোতে ধীর গতি যোগ করা হয়, যা বাস্তবে ছিল না।
তিনি বলেন, “পুরো গতিতে দৌড়ানো অবস্থায় যদি স্লো মোশন করা হয়, তাহলে তা মোটেই ভালো দেখায় না।”
‘বেওয়াচ’-এর সাফল্য সত্ত্বেও, এগার্টের ক্যারিয়ারে এর প্রভাব ছিল নেতিবাচক।
তিনি জানান, ধারাবাহিকে অভিনয়ের কারণে তার অন্য কাজ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, “তখন মনে হতো, যেন আমাকে ‘বেওয়াচ বিম্বো’ এবং ‘অলস, বোকা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ‘বেওয়াচ: হাওয়াইয়ান ওয়েডিং’ টিভি মুভিতেও অভিনয় করেছিলেন এগার্ট।
তিনি জানান, ‘বেওয়াচ’-এর প্রথম দিনের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল বেশ অপ্রত্যাশিত।
সবসময় বিকিনি পরে থাকতে হতো তাকে।
তিনি আরও জানান, শরীরের গড়ন নিয়ে হতাশ হয়ে তিনি একসময় স্তন প্রতিস্থাপনও করিয়েছিলেন।
তবে এখন তিনি তার এই সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল