মেগান মার্কেল, ডিউক অফ সাসেক্স, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার কলেজ জীবনের কথা বলেছেন, যা অনেকের কাছেই হয়তো অজানা। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় তিনি কিভাবে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং কিভাবে সেই অভিজ্ঞতা তার বর্তমান জীবনে কাজে লাগছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
লেমনেডা মিডিয়ার ‘কনফেশনস অফ আ ফিমেল ফাউন্ডার’ নামক একটি পডকাস্টে, যিনি ‘ফিগস’ নামক মেডিকেল স্ক্রাব প্রস্তুতকারক হেদার হাসনের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
মেগান জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। সেখানে শুধু অভিনয় করাই নয়, একটি নাটকের পেছনের সবকিছু সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হতো।
শব্দ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে আলোর ব্যবস্থা করা, পোশাক তৈরি করা, এমনকি সেলাইয়ের কাজও তাদের শিখতে হতো। মেগানের মতে, এই অভিজ্ঞতাগুলো একটি দল পরিচালনা করার জন্য অসাধারণ প্রশিক্ষণ ছিল। কারণ এর মাধ্যমে তিনি দলের প্রত্যেক সদস্যের কাজকে সম্মান করতে শিখেছিলেন।
শুধু তাই নয়, এই পডকাস্টে তিনি তার ছাত্রজীবনের আরও কিছু মজার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।
এর আগে, গত এপ্রিল মাসের একটি পর্বে তিনি তার বন্ধু এবং হেয়ার কালারিস্ট কাদি লির সাথে কথা বলার সময় সেখানকার একটি ঘটনা উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, সে সময় ইলেক্ট্রিক ফ্ল্যাট আয়রন সহজলভ্য ছিল না। তাই চুল সোজা করার জন্য তাদের অন্য উপায় অবলম্বন করতে হতো।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় তার সহপাঠীরা তার চুলের গন্ধ নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করতেন, কারণ তারা হয়তো আগে এমন অভিজ্ঞতা পাননি।
মেগান মার্কেল বর্তমানে ডিউক অফ সাসেক্স হিসেবে পরিচিত, যিনি প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী। অভিনয়ের জগৎ থেকে বিদায় নেওয়ার পর তিনি বিভিন্ন জনহিতকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।
তার কলেজ জীবনের এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, একজন মানুষের বহুমুখী শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল