অবশেষে মুক্তি! গাজায় হামাস বন্দীত্ব থেকে ফিরলেন ইদান আলেকজান্ডার?

**হ্যামাসের কবল থেকে মুক্তি, ইসরায়েলি-মার্কিন নাগরিক এডান আলেকজান্ডারের ফিরে আসা**

গাজায় প্রায় ১৯ মাস বন্দী থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ইসরায়েলি-মার্কিন দ্বৈত নাগরিক এডান আলেকজান্ডার। হামাস কর্তৃপক্ষের তরফে এই মুক্তিকে “সদিচ্ছার নিদর্শন” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তারা যুদ্ধবিরতির আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চাইছে।

সোমবার (১৩ মে, ২০২৪) এই মুক্তি দেওয়া হয়।

এডান আলেকজান্ডার ছিলেন ২০১৯ সালে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে হামাসের আক্রমণের শিকার হওয়া একজন সৈন্য। নিউ জার্সির এই বাসিন্দা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।

অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে হামাসের আক্রমণে বন্দী হওয়া ২৫১ জনের মধ্যে তিনিই ছিলেন জীবিত শেষ মার্কিন নাগরিক।

এডানকে মুক্ত করার ঘোষণার পর তাঁর পরিবার জানায়, “আমরা সবচেয়ে বড় উপহারটি পেয়েছি—আমাদের প্রিয় পুত্র এডান ৫৪৩ দিন গাজায় বন্দী থাকার পর বাড়ি ফিরছে।

এডানের বাবা-মা ইতিমধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। জানা গেছে, মুক্তি পাওয়ার আগে বেশ কয়েকবার এডানের একটি ভিডিও প্রকাশ করে হামাস, যেখানে তাকে সাহায্য চেয়ে আকুতি করতে দেখা যায়।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, এডানের মুক্তির জন্য তাঁর পরিবার বহু চেষ্টা চালিয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন।

তাঁদের আশা ছিল, এর মাধ্যমে হয়তো এডানের মুক্তি ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।

ইতিমধ্যে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের সূত্রে জানা গেছে, এডান বন্দী অবস্থায় ওজন হারিয়েছিলেন এবং অন্য বন্দীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।

তিনি অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের মুক্তি দেওয়ার জন্য তাঁর তত্ত্বাবধায়কদের অনুরোধ করতেন, কারণ তাঁরা এই সংঘাতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

হামাস জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে।

তবে ইসরায়েল এই শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তাদের দাবি, সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এবং হামাসকে পরাজিত না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

এডানের মুক্তির পর তাঁর পরিবার ইসরায়েলি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যেন তারা অন্যান্য জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।

পরিবারটি আশা প্রকাশ করেছে, এডানের মুক্তি অন্যান্য জিম্মিদের পরিবারের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং তাঁদের প্রিয়জনদেরও মুক্তি মিলবে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *