শিরোনাম: প্রিয় বিড়ালকে হারানোর পর মেয়ের আবেগ, ভাইরাল ভিডিওতে শোকের ছোঁয়া
ছোট্ট হার্লি, বয়স মাত্র দুই বছর, তার আদরের বিড়াল স্মোকি মারা গিয়েছিল দুবছর আগে। একদিন খেলার ছলে সে তার মাকে জানায়, সে কি স্মোকিকে স্লিপের (slide) উপর দিয়ে নামাতে পারে? হার্লির মা, নিকোল ডেলগিউডিস, প্রথমে একটু অবাক হলেও মেয়ের ইচ্ছাকে সম্মান জানান। এরপর যা ঘটল, তা দেখে নেটিজেনদের চোখে জল চলে আসে।
স্মোকি ছিল ডেলগিউডিস পরিবারের নয়নের মণি। আদরের এই বিড়ালটি মারা যায় ২০২৩ সালের ১৬ই এপ্রিল, যখন হার্লির বয়স ছিল খুবই কম। তাই প্রিয় পোষ্যকে হারানোর কষ্টটা তখন সে ভালোভাবে বুঝতে পারেনি। কিন্তু সম্প্রতি, স্মোকির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে হার্লি তার মায়ের হাতে থাকা একটি পাত্রের দিকে তাকিয়ে জানতে চায়, “মা, এটা কী?” মা তখন বুঝিয়ে বলেন, “আমরা যদিও এখন আর তাকে দেখতে পাই না, সে শান্তিতে ঘুমোচ্ছে। একদিন আমরা আবার তার সাথে মিলিত হব।”
এরপর থেকেই হার্লি প্রায়ই সেই পাত্রটি দেখতে চাইত। একবার তো সে পাত্রটি বিছানায় রেখে, পাশে বসে, যেন ঘুমন্ত বিড়ালের সাথে কথা বলছিল। এরপর যখন সে স্লিপের উপর দিয়ে স্মোকিকে নামানোর কথা বলল, ডেলগিউডিস সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান। মা হিসেবে তিনি চান, মেয়ে যেন তার অনুভূতির স্বাধীন প্রকাশ করতে পারে।
ডেলগিউডিস এই মুহূর্তটির একটি ভিডিও তৈরি করেন এবং তা টিকটকে (TikTok) আপলোড করেন। ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়, যা এরই মধ্যে ত্রিশ লক্ষেরও বেশি ভিউ (view) ছাড়িয়ে গেছে। নেটিজেনরা (netizens) এই ভিডিও দেখে আবেগাপ্লুত হয়েছেন। অনেকে মন্তব্য করেছেন, “ছোট্ট মেয়ের এই ভালোবাসা মন ছুঁয়ে গেল”, আবার কেউ লিখেছেন, “শোকের মাঝেও হাসি খুঁজে নেওয়ার এক অসাধারণ চেষ্টা”।
ডেলগিউডিস জানান, এই ভিডিওটির মাধ্যমে তিনি মানুষকে শোকের সাথে মানিয়ে নেওয়ার একটি ভিন্ন দিক দেখিয়েছেন। তিনি মনে করেন, শিশুদের শোক প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তাদের প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করা উচিত এবং তাদের সাথে খোলাখুলিভাবে কথা বলা প্রয়োজন। তিনি আরও যোগ করেন, “কষ্টের সময়েও আনন্দ থাকতে পারে। শোক সবসময় একই রকম হয় না।”
ডেলগিউডিসের মতে, আমাদের জীবনের ব্যস্ততার মাঝে অনেক সময় প্রিয়জনদের কথা মনে থাকে না। এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের চারপাশে থাকা মানুষ এবং পশুদের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত, কারণ তারা আমাদের সঙ্গে অল্প সময়ের জন্য থাকে।
তথ্য সূত্র: পিপল