বরের সাজসজ্জা সবসময় আলোচনার বিষয় হলেও, এবার এক মায়ের রূপান্তরের গল্প শোনা যাক। মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজেকে আরও সুন্দর ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে, ৬০ বছর বয়সী বার্নাডেট নামের এক মার্কিন নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চেহারা ও শরীরের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।
নিউ ইয়র্কের খ্যাতনামা প্লাস্টিক সার্জন ড. মার্ক এপস্টাইনের তত্ত্বাবধানে এই রূপান্তর সম্পন্ন হয়।
বার্নাডেটের মতে, আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বকে তিনি আগের মতো পাচ্ছিলেন না। মেয়ের বাগদানের পরই তিনি এই পরিবর্তনের কথা ভাবা শুরু করেন।
বিয়ের আগে তিনি ফেসলিফটিং করান। এরপর স্তন বড় করা, শরীরের গড়ন ঠিক করা এবং পেটের চামড়া টানার মতো অস্ত্রোপচারও করান।
বার্নাডেট জানান, অস্ত্রোপচারের আগে তিনি কিছুটা নার্ভাস ছিলেন, তবে ফলাফলের বিষয়ে তিনি ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। ড. এপস্টাইনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর তার অগাধ আস্থা ছিল।
অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সেরে ওঠেন তিনি। কাজের জগৎ থেকে মাত্র এক সপ্তাহের বিরতি নিয়েছিলেন, এবং অস্ত্রোপচারের পাঁচ দিন পরেই সমুদ্র সৈকতে হেঁটেছেন, যদিও টুপি, স্কার্ফ ও সানগ্লাস পরে ছিলেন।
বার্নাডেটের কথায়, “আমি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং সুন্দর অনুভব করছি।” অস্ত্রোপচারের পাঁচ সপ্তাহ পর, তিনি তার ফলাফল দেখে খুবই খুশি।
তার ভাষায়, “আমি আমার ফলাফলকে ভালোবাসি এবং মেয়ের বিয়ের জন্য প্রস্তুত।”
সাধারণভাবে, পশ্চিমা বিশ্বে সৌন্দর্যচর্চা ও অস্ত্রোপচারের ধারণা বেশ প্রচলিত। বাংলাদেশেও এখন আধুনিক জীবনযাত্রার সাথে সাথে সৌন্দর্য সচেতনতা বাড়ছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে।
তবে, এই ধরনের পরিবর্তন এখনো অনেকের কাছে নতুন এবং বিতর্কিত বিষয়। বার্নাডেটের এই গল্প, একজন নারীর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক, যিনি নিজের ভালো থাকার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তথ্যসূত্র: পিপল