ওজন ঝরিয়ে তাক লাগালেন মেগান ট্রেইনার! কিভাবে সম্ভব হলো?

জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা মেগান ট্রেইনর সম্প্রতি তার স্বাস্থ্য পরিবর্তনের এক গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তিনি কিভাবে ওজন কমিয়েছেন, কিভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছেন, সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। মা হওয়ার পর নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে সচেতন হয়েছেন এই গায়িকা।

শরীরের সুস্থতা ও সুঠাম স্বাস্থ্যের জন্য তিনি ডায়েট, ব্যায়াম এবং কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের সাহায্য নিয়েছেন।

২০২১ সালে প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর, ট্রেইনর স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার দিকে মনোযোগ দেন। তিনি জানান, সন্তানের জন্য সুস্থ থাকতে চেয়েছি বলেই এই পরিবর্তন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি প্রায় ৬০ পাউন্ড ওজন কমাতে সক্ষম হন।

নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস এর মূল মন্ত্র ছিল। ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর, তিনি তার স্বাস্থ্য পরিবর্তনের এই যাত্রা পুনরায় শুরু করেন।

ওজন কমানোর জন্য ট্রেইনর ‘মৌনজারো’ নামক একটি ওষুধ গ্রহণ করেছেন। এই ওষুধটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এই ওষুধ সেবন করেছেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাস এর ওপর জোর দিয়েছেন।

ট্রেইনর এবং তার স্বামী ড্যারিল সাবারা দুজনেই স্বাস্থ্য সচেতন এবং তারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন।

ব্যায়ামের ক্ষেত্রে, ট্রেইনর সপ্তাহে তিন দিন ভারী ওজন তোলার অনুশীলন করেন। তিনি জানান, ওজন তোলার মাধ্যমে জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন এসেছে।

শুধু তাই নয়, তিনি তার নিতম্বের আকার ফিরিয়ে আনতে বিশেষভাবে চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্যকর খাবারের ওপর জোর দিয়ে ট্রেইনর প্রতিদিন প্রায় ১০০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করেন।

প্রাতরাশে তিনি সাধারণত ডিম ও টার্কি বেকন খান। দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের জন্য তিনি একটি ফুড ডেলিভারি সার্ভিসের সাহায্য নেন, যেখানে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার পাওয়া যায়।

মেগান ট্রেইনর এবং তার স্বামী ড্যারিল সাবারা দুজনেই ব্যায়ামের ব্যাপারে বেশ উৎসাহী। তারা একসাথে জিম করেন এবং একে অপরের স্বাস্থ্য নিয়ে সহযোগিতা করেন।

ট্রেইনর মনে করেন, সুস্থ থাকতে হলে শরীরচর্চার বিকল্প নেই।

তবে, এখানে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, কোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে এবং কোনো চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করে না।

স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *